স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগ, আটক ১

ভোলার তজুমদ্দিনে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ জুন) সাতজনের নাম উল্লেখ করে তজুমদ্দিন থানায় মামলা করেন ওই নারীর স্বামী। এর আগে গত রোববার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী উপজেলার একটি ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং তিনি ঢাকায় থাকেন। তিনি দুটি বিয়ে করেছেন। তিনি বলেন, ১৪ থেকে ১৫ দিন আগে ঢাকা থেকে ভোলার বাড়িতে আসেন। গত শনিবার দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে বাসায় ডেকে নেন। সেখানে যাওয়ার পর ছয়-সাতজনের একটি দল ঘরের ভেতর ঢুকে মারধর করে চাঁদা দাবি করে। পরদিন প্রথম স্ত্রী ঘটনাস্থলে এসে স্বামীকে ছেড়ে দিতে বলেন। হামলাকারীরা প্রথম স্ত্রীকে ঘরে রেখে স্বামীকে বাইরে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, স্বামীকে বের করে সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী দম্পতির দাবি, এ ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ি গিয়ে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বামী পুলিশে খবর দেন। সোমবার পুলিশ এসে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে।
এদিকে সোমবার রাতে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি অভিযুক্ত আসামিদের শাস্তি দাবি করেছেন।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, সোমবার ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী নারী নির্যাতন মামলা করেন। এ ঘটনায় ঝড়না বেগম নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক ঘটনাস্থল তজুমদ্দিন পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা একজনকে আটক করেছি। বাকিদের আটকের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।’