গবাদি পশুর রোগ নির্মূলে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে হবে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (এফএমডি) ও লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) নির্মূলের লক্ষ্যে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এই দুটি রোগ গবাদি পশুর জন্য অত্যন্ত মারাত্মক ও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেজন্য সঠিক পরিকল্পনা ও টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে এগুলো নির্মূলের দিকে এগোতে হবে।
রোববার (৬ জুলাই) সকালে বাঘাবাড়ি ঘাট দুগ্ধ কারখানার সম্মেলন কক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, আগামী কোরবানিতে কেউ যেন বলতে না পারে এলএসডি এর কারণে কোরবানির পশুর চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মাঠপর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, পাবনা-সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে টিকাদান কার্যক্রমে কোনো অজুহাত চলবে না। এজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খামারিদের দ্বারে গিয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান বলেন, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ। এসব জেলার গবাদিপশু এফএমডি ও এলএসডিমুক্ত ঘোষণা করতে হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরও আন্তরিকতা ও উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. হেমায়েত হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) বেগম শামসুন্নাহার আহমদ, পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ. বি. এম. খালেদুজ্জামান, এলডিডিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, এলডিডিপি প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর মো. গোলাম রব্বানী, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ. কে. এম আনোয়ারুল হকসহ বিভিন্ন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাবৃন্দ ও ভেটেরিনারি ডাক্তাররা।