মহাসড়কে খানাখন্দ, সাভারে যানজটে দুর্ভোগ চরমে

টানা বৃষ্টি আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়ক। দুই মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী, কর্মজীবী মানুষ ও চালকরা। বিশেষ করে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের স্বাভাবিক চলাচল এবং শিল্পাঞ্চলের সরবরাহ চেইন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, এই মহাসড়ক দুটিতে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্ভোগ লেগে আছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের ধীরগতি, সঠিক সমন্বয়হীনতা ও সড়ক বিভাগের গাফিলতিতে পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। এর সঙ্গে টানা বৃষ্টিপাত পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে।
আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর মিয়া বলেন, মহাসড়কের স্থবিরতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দিনশেষে এর প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়ছে।
এদিকে, বগুড়া থেকে ঢাকার কারওয়ান বাজারের উদ্দেশে কাঁচামাল বহন করে আসা ট্রাকচালক ইদ্রিস আলী জানান, ভোর রাতে ঢাকায় মাল খালাস করে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এখনও বাইপাইলে আটকে আছি। কাঁচামাল পচে যাচ্ছে। সময়মতো বাজারে পৌঁছাতে না পারলে মালিকের লোকসান নিশ্চিত।
হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের কারণে এমনিতেই মহাসড়কে যানজট লেগে থাকতো। এর মধ্যে টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভারি যানবাহন প্রায়ই উল্টে যাচ্ছে বা বিকল হয়ে পড়ছে। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি আটকে থাকছে মহাসড়কে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, যানজট নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি এবং রাস্তার বেহাল দশার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।