বার্ন ইউনিটে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মাহতাব

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ইংলিশ ভার্সনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাহতাব রহমান ভূঁইয়া (১৫)। তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়ির মো. মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া ও নাসরিন আক্তারের একমাত্র ছেলে মাহতাব। তারা ঢাকার উত্তরায় বসবাস করেন। মাহতাব মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন মাহতাবকে স্কুলে নিয়ে যেতেন তার বাবা। সোমবার (২১ জুলাই) স্কুল ছুটির প্রায় ১০-১৫ মিনিট আগে হঠাৎ একটি প্রশিক্ষণ বিমান ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক আহত হন। ওই সময় মাহতাব ভবনের ভেতরেই ছিল। পরে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর থেকে মাহতাবের পরিবার হাসপাতালে অবস্থান করছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার বাবা মিনহাজুর রহমান বলেন, আমার ছেলেকে যখন স্ট্রেচারে তোলা হচ্ছিল, তখন চিনতেই পারিনি। চিকিৎসকরা বলেছেন তার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এখনও জ্ঞান ফেরেনি। আমার একমাত্র ছেলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।