আসন্ন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে ধরে রাখার পরিকল্পনা সরকারের

শেখ হাসিনার স্বৈরাশাসন অবসানের ৯ মাসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৩ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গবেষণায়, চলতি অর্থবছরের প্রায় পুরোটা জুড়ে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অথচ সরকারের লক্ষ্য ছিল ৬ শতাংশে আটকে রাখার। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে ধরে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯ মাস শেষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব ঘাটতি ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। গত ১০ মাসে এডিপির বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
পতিত হাসিনা সরকারের চরম দুর্নীতির কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাহাড় সমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খেলাপি ঋণ প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২ শতাংশ। এ ছাড়া আদায় অযোগ্য হওয়ায় ঋণ অবলোপনের পরিমাণ ৮১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা।
প্রবাসি শ্রমীকদের পাঠানো রেমিটেন্সে রিজার্ভ পতনের গতি ঠেকানো গেছে। প্রতি মাসে গড়ে রেমিটেন্স আসছে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার। এতে এপ্রিল মাস শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলারে। তবে কোনোভাবেই কমছে না ডলারের দাম।
অর্থনীতিতে এতসব চ্যালেঞ্জ, জ্বালানি সংকট ও শ্রমিক অসন্তোসের ঘটনার মধ্যেও বছরজুড়ে রপ্তানি বেড়েছে। গত ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪০ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, হয়েছে প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি রপ্তানি বাণিজ্যকে কঠিন চ্যালেঞ্চের মুখে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।