বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় না যাওয়ায় ইবিতে দুপুরের খাবার স্থগিত, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় প্রত্যাশিত সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ না নেওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলে দুপুরের খাবার পরিবেশন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এই ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, বর্ষবরণ উপলক্ষে হল কর্তৃপক্ষ বিশেষ খাবারের আয়োজন করে—মেনুতে ছিল পান্তা ভাত, ভর্তা ও রুই মাছ ভাজি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি শোভাযাত্রা আয়োজনের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়। কিন্তু শোভাযাত্রায় উপস্থিতি আশানুরূপ না হওয়ায় হলের প্রভোস্ট ড. জালাল উদ্দিন খাবার পরিবেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
প্রভোস্ট বলেন, ‘আমার হলে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী থাকলেও মাত্র ৮-১০ জন শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এত কম উপস্থিতিতে র্যালি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। পরে বিশেষ আয়োজন অফ করা হয়। অল্প সময়ে এত রান্না করার আয়োজন সম্ভব না হওয়ায় সাধারণ মিলও বন্ধ রাখতে হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগেই অবগত করেছিলাম।’
তবে শিক্ষার্থীরা জানান, শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না এবং অনেকের ক্লাস ও পরীক্ষা থাকার কারণে তারা অংশ নিতে পারেননি। অনেকেই আগেই খাবারের টোকেন সংগ্রহ করেছিলেন, কিন্তু দুপুরে গিয়ে দেখতে পান ডাইনিংয়ে তালা ঝুলছে।
আবাসিক শিক্ষার্থী ফাতিমাতুজ-জোহরা ইরানী বলেন, “আমরা আগের রাতেই টোকেন সংগ্রহ করেছি। কিন্তু দুপুরে গিয়ে দেখি খাবার দেওয়া হবে না এবং ডাইনিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
আরেক শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা বলেন, “অন্যান্য হলের তুলনায় আমাদের হলে বরাবরই অবহেলা করা হয়। অনেকেই পরীক্ষা শেষে হলে ফিরে দেখেন, খাবার দেওয়া হয়নি। এতে আমরা চরম দুর্ভোগে পড়ি।”
বিষয়টি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, “শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ ব্যক্তিগত বিষয়। এজন্য খাবার বন্ধ করে দেওয়া উচিত হয়নি। বিষয়টি আমার জানা ছিল না।”