চরম জনবল সংকটে ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর। অফিসে আছে একজন প্রকল্প কর্মকর্তা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার। তার সঙ্গে আছেন একজন অফিস সহায়ক ও একজন নৈশপ্রহরী। চরম জনবল সংকট নিয়ে উপজেলার ৭৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সামলাতে হচ্ছে এ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের।
জানা গেছে, প্রায় আট মাস আগে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওহাদেুজ্জামান অবসরে গেছেন। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদোন্নতি পেয়ে বদলি হয়েছেন। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে মোট পদের সংখ্যা সাতটি হলেও জনবল রয়েছে মাত্র তিনজন। সার্বিক অফিস পরিচালনা করছেন অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার। তিনি একাই অফিস কার্যক্রম, মাধ্যমিক শ্রেণির বই বিতরণ, শিক্ষা উপবৃত্তি এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই অফিসের আওতায় রয়েছে ৫২টি মাধ্যমিক স্কুল, ১৮টি মাদ্রাসা ও সাতটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এদিকে, ঈশ্বরদীর সাতটি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। এরমধ্যে পাঁচটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড, একটি মাদ্রাসা বোর্ড এবং একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের প্রশ্নপত্র ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, উত্তরপত্র প্রেরণসহ বিভিন্ন কাজ অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজারকে সামাল দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ আরিফ বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কাজে সমস্যা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের শূন্যপদ পূরণ করা প্রয়োজন।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় ঈশ্বরদী উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরদী জনগুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হওয়ায় খুব দ্রুততম সময়ে একজন কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করা হবে।