অকালে চুল পাকা রোধে তিন ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগান

অসময়ে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা কিন্তু এখন প্রায় সকলেরই আছে। সাদা চুলকে বার্ধক্যের ছাপ মনে করা হয়। কিন্তু এখন অনেক অল্পবয়সিদের চুল পাকতে শুরু করে। বর্তমানের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন প্রণালী, খাদ্যাভ্যাসের কারণে কম বয়সেই অনেক ছেলে ও মেয়েদের চুল পেকে যায়। অনেকে এই সমস্যা মেটাতে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেন এবং অর্থ অপচয় করতে থাকেন। কিন্তু এগুলোতে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানে ভর্তি, যা চুলের জন্য আরও অনেক ক্ষতি করে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন, যার সাহায্যে আপনি ঘরে বসেই আপনার চুল কালো, লম্বা এবং ঘন করতে পারবেন।
আমলকির ব্যবহার
আমলকি আমাদের চুলের জন্য বর। আপনি যদি আপনার চুলে আমলকির তেল, আমলকির গুঁড়ো অথবা আমলকির হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার চুল পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে খুব সহজেই। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি সপ্তাহে তিন বারও আপনার চুলে আমলকির সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্য ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার চুল ঘন, মজবুত এবং সিল্কি হয়ে উঠতে পারে। আমলকিতে ভিটামিন এ, সি, বি কমপ্লেক্স, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো অনেক ধরণের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আপনার চুল ধূসর হওয়া রোধে খুবই উপকারী।
কারি পাতা, নারকেল তেলে মিশিয়ে নিন
নারকেল তেল আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। তবে যদি আমরা এতে একটু কারিপাতা যোগ করি এবং সেই তেল চুলে লাগাই, তাহলে এটি আরও কার্যকর প্রমাণিত হবে। কারণ নারকেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এ ছাড়াও, কারিপাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, নারকেল তেলে কারিপাতা ফুটিয়ে চুলে লাগান। প্রতিদিন এই তেল লাগালে আপনার সাদা চুল কালো দেখাতে শুরু করবে।
সরিষার তেল, মেহেদি ও মেথি বীজ মিশিয়ে নিন
মেহেদি বা মেথি বীজের সঙ্গে নারকেল তেল বা সরিষার তেলে মিশিয়ে লাগালে চুল রুক্ষ-শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। নারকেল এবং সরিষার তেলে প্রোটিন, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গালের মতো অনেক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা আপনার চুলের মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। এটি চুল ধূসর হতেও বাধা দেয়। তাই সপ্তাহে অন্তত ৪-৫ বার এই তেলের মালিশ করুন।