সৌন্দর্যের বুননে ব্যস্ত কারচুপির কারিগররা

সুন্দর নকশার ঝিলিক আর সূক্ষ্ম সেলাইয়ের ছোঁয়ায় সাধারণ কাপড়ও হয়ে ওঠে শিল্পের অনন্য নিদর্শন। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় কারচুপি। ওড়না, জামা বা শাড়িতে কারচুপির নকশা থাকলে পোশাকের দাম অনেক গুণ বেড়ে যায়। হাতের সূক্ষ্ম ও নিখুঁত কাজে কারচুপির কারিগরেরা একটি সাধারণ পোশাককে রূপ দেন চোখধাঁধানো সৌন্দর্যে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় চোখে পড়ে কারচুপির বেশ কয়েকটি ছোট ছোট কারখানা, যেখানে প্রতিদিন বসে কাজ করেন দক্ষ কারিগরেরা। এই কারিগরদের অধিকাংশই ক্যাম্পের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই এই শিল্পের সাথে জড়িত বলে জানান তারা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় চোখে পড়ে কারচুপির বেশ কয়েকটি ছোট ছোট কারখানা, যেখানে প্রতিদিন বসে কাজ করেন দক্ষ কারিগররা। এই কারিগরদের অধিকাংশই ক্যাম্পের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই এই শিল্পের সাথে জড়িত বলে জানান তারা।
এখানকার একটি কারখানার কারিগর মোহাম্মদ শহিদ জানান, তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে এই কাজের সাথে জড়িত আছেন। এই কাজ করেই পরিবারের ভরণপোষণ সরবরাহ করেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় কাপড়ের সরবরাহ কম থাকায় এই শিল্পের কদর ও চাহিদা পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জেনেভা ক্যাম্পের এই কারিগরেরা যে নিপুণতায় ধরে রেখেছেন তাদের শিল্পকর্ম, তা বয়ে বেড়াচ্ছে এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতাও।
ভারতীয় পণ্যের সংকট এবং স্থানীয় বাজারের পরিবর্তনশীল চাহিদার মাঝে কারচুপির এই শিল্প আবারও নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকার এই লড়াইয়ে কারিগরেরা আশাবাদী, তাদের সেলাইয়ের প্রতিটি ফোঁড়ই হয়ে উঠবে ভবিষ্যতের আশার বুনন।