চুল লম্বা করতে ব্যবহার করবেন যে তেল

চুলকে মজবুত, ঘন, লম্বা, ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে চান অনেকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, নানা কারণে আমরা যেমনটা চাই চুলের গঠন তেমন হয়ে ওঠে না। মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার অভাবে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যার খুব সাধারণ একটি সমাধান রয়েছে। তা হলো, চুলের যত্নে ভালো তেল ব্যবহার করা। কিন্তু কোন তেল মাখবেন?
একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, চুলের ভিতর পর্যন্ত পুষ্টি জোগায় টি ট্রি অয়েল। এই বিশেষ এসেনশিয়াল অয়েলটি ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকনাশক আর প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। গত ১০০ বছর ধরে রূপচর্চায় ও প্রসাধনী শিল্পে টি ট্রি অয়েলের প্রভূত ব্যবহার চলছে। ত্বক, নখ ও চুলের সমস্যা মেটাতে তেলটি দারুণ কার্যকর।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণ আছে বলে মাথার ত্বকের নানা সমস্যা কমাতে এটি ফলপ্রসূ। হেয়ার ফলিকলস (চুলের গোড়ার কোষ) পরিষ্কার করে ও আর্দ্রতা জোগায়। তাই খুশকি পরিষ্কার হয় এবং চুল পড়ার সমস্যা কমে। শুষ্ক হয়ে যাওয়া চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতেও সাহায্য করে এই এসেনশিয়াল অয়েল। উপযুক্ত পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পেতে সাহায্য করে। তাই চুল খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে।
প্রতিদিনের শ্যাম্পুতে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পুর বোতলে ১০-১৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু মেখে দু’-তিন মিনিট রেখে দিতে হবে। ওই সময়েই চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শুষে নেবে। মসৃণ ও উজ্জ্বল চুল পাবেন।
ক্যারিয়ার অয়েলে সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ২-৩ টেবিল চামচ ক্যারিয়ার অয়েল (যেমন নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল) নিন এবং তাতে ৫-১০ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মেশান। এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে মালিশ করুন। বৃত্তাকার গতিতে কমপক্ষে ৫-১০ মিনিট মালিশ করুন যাতে তেল ভালভাবে মিশে যায়। তেল মালিশের পরে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে নিন। সারা রাত রেখে দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হবে।
টি ট্রি অয়েল হেয়ার স্প্রে হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। একটি স্প্রে বোতলে পানি বা গোলাপ জল নিয়ে তাতে ৭-৮ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। চুল ধোয়ার পরে বা বাইরে বের হওয়ার সময়ে এই স্প্রে করে নিলে চুল নরম ও মসৃণ থাকবে।