Skip to main content
NTV Online

মত-দ্বিমত

মত-দ্বিমত
  • অ ফ A
  • প্রতিক্রিয়া
  • সমসাময়িক
  • বহির্বিশ্ব
  • ব্যঙ্গ রঙ্গে
  • ফিরে দেখা
  • স্মরণ
  • বিদেশি কলাম
  • নগর দর্পণ
  • অতিথি কলাম
  • খেলাধুলা
  • পাঠকের কলাম
  • বিবিধ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • মত-দ্বিমত
ছবি

নিউইয়র্কে পারসা ইভানা

প্রকৃতির কোলে কৌশানী মুখার্জি

মিষ্টি হাসিতে সাবিলা নূর

মায়াবী চোখে কেয়া পায়েল

প্যারিসে রোমান্টিক মুডে মেহজাবীন-আদনান

দেশে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন

‘কনকা সেরা পরিবার’ সিজন- ৩ চ্যাম্পিয়ন ঢাকার শাহিদিন-ফারহানা পরিবার

কোহলির স্বপ্নজয়ে সারথি আনুশকা!

প্রকৃতিপ্রেমী বুবলী

ইউরোপের রাজাদের বিজয় উদযাপন

ভিডিও
গানের বাজার, পর্ব ২৩৭
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৮
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৮৫
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ১৭
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৮
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৪৮
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৪৮
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৮
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৮
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬১
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬১
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৩
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৩
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:২৪, ১৫ জুলাই ২০১৬
আপডেট: ১০:৪৬, ১৫ জুলাই ২০১৬
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:২৪, ১৫ জুলাই ২০১৬
আপডেট: ১০:৪৬, ১৫ জুলাই ২০১৬
আরও খবর
ড. জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টায় হামলাকারীর যাবজ্জীবন
হৃদয় মণ্ডলকে মুক্তি দিন, নইলে আমাকেও গ্রেপ্তার করুন : জাফর ইকবাল
সফলতা লাভে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই : জাফর ইকবাল
‘শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামানোর প্রক্রিয়াগুলো নিষ্ঠুর ও দানবীয়’
অবশেষে অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

সাদাসিধে কথা

তারুণ্যের এপিঠ-ওপিঠ

মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:২৪, ১৫ জুলাই ২০১৬
আপডেট: ১০:৪৬, ১৫ জুলাই ২০১৬
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:২৪, ১৫ জুলাই ২০১৬
আপডেট: ১০:৪৬, ১৫ জুলাই ২০১৬

জুলাই মাসের ১ তারিখ আমি দেশের বাইরে। বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংসতম একটি হত্যাকাণ্ডের প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়েছে, আমি তার কিছুক্ষণের মধ্যেই খবরটি পেয়ে গেছি। শুধু আমি নই, সারা পৃথিবীর প্রায় সব মানুষ সেই খবরটি জেনে গেছে, সিএনএন যে রকম উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উত্তেজনার সঙ্গে সেই খবর প্রচার করেছে, আমি আমার জীবনে সে রকমভাবে অন্য কোনো খবরকে প্রচার হতে দেখিনি। গুলশানের সেই অভিশপ্ত ক্যাফের ভেতরে কী ঘটেছে—সেটি সংবাদমাধ্যমে এসেছে রাত পোহানোর পর। কিন্তু ভাসাভাসাভাবে সবকিছুই সবাই জেনে গেছে সেই রাতেই। আমিও জেনেছি এবং গভীর বিষাদে ডুবে যাওয়া বলতে যা বোঝায়, বহুদিন পর আমি সেটি অনুভব করেছি। যন্ত্রের মতো সবকিছু করে গেছি, কিন্তু একমুহূর্তের জন্যও মনের ভেতর থেকে সেই কষ্টটুকু সরাতে পারিনি। এতজন বিদেশিকে আমাদের দেশের মাটিতে এ রকম নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা তাঁদের আপনজনের কাছে কীভাবে মুখ তুলে তাকাব? শুধু বিদেশি নয়, আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীদেরও হত্যা করা হয়েছে, শুধু তাদের পোশাক কিংবা তাদের পরিচয় হত্যাকারীদের পছন্দ হয়নি বলে। মানুষের জীবন এত সহজ একটি পণ্য, এত সহজে তাকে নিঃশেষ করে দেওয়া যায়?

পরদিন হত্যাকারীদের ছবি দেখে দেশের সব মানুষের মতো আমিও বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি ঠিক এই বয়সের, এই মানসিকতার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছি। আমার ধারণা ছিল, আমি বুঝি এই বয়সের ছেলেময়েদের চিন্তাভাবনার জগৎ একটুখানি হলেও বুঝতে পারি। আমি এখন জানি, আমার ধারণা সত্যি নয়, আমি সারা জীবন চেষ্টা করলেও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র কিংবা ধারালো চাপাতি হাতে হাসিমুখের এই তরুণগুলোর মনোজগৎ কোনোভাবে অনুভব করতে পারব না। শুধু ধর্মের কোনো এক ধরনের ব্যাখ্যা দিয়ে সম্পূর্ণ নিরপরাধ কিছু মানুষ—কিছু নারী, কিছু তরুণ-তরুণীকে বিন্দুমাত্র অপরাধ ছাড়া ঠান্ডা মাথায় গুলি করে কিংবা কুপিয়ে হত্যা করতে শেখানো যায়—সেটি একেবারে নিজের চোখের সামনে দেখেও আমি বিশ্বাস করতে পারি না। দেশের বাইরে বসে আমার কিছু করার নেই, তাই শুধু ইন্টারনেটে খবর পড়ি, পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলো পড়ি। দেশ-বিদেশের অনেক বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবী জ্ঞানী-গুণী মানুষ এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন কিংবা বোঝার চেষ্টা করেছেন, তাঁরা ঘটনার ব্যাখ্যা করেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন, আলোচনা-সমালোচনা করেছেন, কী করতে হবে তার উপদেশ দিয়েছেন। আমার পক্ষে তার কিছুই করা সম্ভব না। যে বিষয়টা আমি বুঝতেই পারিনি, কেমন করে সেটি দিয়ে আলোচনা করব?

পরিবারের কেউ মারা গেলে সব আপনজন যে রকম একত্র হয়ে দুঃখটা একে-অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়, আমি সে রকম কিছু একটা করতে চাইছি। মনের দুঃখটা সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাইছি। পৃথিবীর নানা দেশের যে মানুষ এই দেশে এসে প্রাণ হারিয়েছে, সম্ভব হলে আমি তাঁদের আপনজনের হাত ধরে মাথা নিচু করে ক্ষমা চাইতাম। আমার নিজের দেশের যে তরুণ-তরুণীরা মারা গেছে তাদের আপনজনের কাছে আসলে আমাদের ক্ষমা চাইবারও ভাষা নেই। শুধু তাদের বলতে চাই, এই তরুণ-তরুণীরা যে রকম তাদের সন্তান, তাদের ভাই কিংবা বোন, তারা আসলে ঠিক একই রকমভাবে আমাদের সন্তান, আমাদের ভাই কিংবা বোন। তাদের আপনজনের যে রকম কষ্ট পাচ্ছেন, আমরাও ঠিক একই রকম কষ্ট পাচ্ছি।

২.
এ রকম হত্যাকাণ্ড যে বাংলাদেশে এই প্রথম হয়েছে, তা নয়। প্রথম গণজাগরণ মঞ্চ শুরু হওয়ার পর ব্লগার রাজীবকে দিয়ে শুরু হয়েছিল (তখনো হত্যাকারীরা ছিল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র, বিত্তশালী পরিবারের সন্তান), সে সময় সরকার একই সঙ্গে কার্যকর এবং মানবিক ভূমিকা রেখেছিল। তারপর কীভাবে জানি দেশের মানুষকে ব্লগার নাস্তিক, এভাবে ভাগ করা হতে থাকল এবং আমরা দেখতে শুরু করলাম কাকে হত্যা করা হয়েছে তার ওপর নির্ভর করছে সেই হত্যাকাণ্ডটিকে প্রকাশ্যে নিন্দা করা যাবে কি না। কোনো কোনো হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলাই হঠাৎ করে ‘স্পর্শকাতর’ বিষয় হয়ে গেল। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অনন্তকে হত্যা করার পর ক্যাম্পাসে আয়োজন করা শোক মিছিলে এই বিষয়টা নিয়ে আমি ক্ষোভ প্রকাশ করার পর হঠাৎ করে ছাত্রলীগের ছেলেরাই সিলেট শহরে আমার বিরুদ্ধে মিটিং-মিছিল-মানববন্ধন শুরু করে দিল।

হত্যাকাণ্ডগুলো থামানো যায়নি, সেগুলো ধীরে ধীরে আরো বিস্তৃত হতে শুরু করেছিল, আমরা দেখতে শুরু করলাম শুধু ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণেই পূজারি, ধর্মযাজক কিংবা পীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী লেখক, প্রকাশক, এলজিবিটি কর্মী কিংবা বিদেশি মানুষ—কেউই আর বাকি রইল না। তখন আমরা আরো একটি বিষয় লক্ষ করতে শুরু করলাম, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পর সরকার প্রমাণ করার চেষ্টা করতে লাগল—এই জঙ্গি হত্যাকাণ্ড একান্তভাবেই আমাদের দেশীয় জঙ্গি, বাইরের জঙ্গিদের সঙ্গে এর কোনো যোগাযোগ নেই। আবার সেই একইভাবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান কিংবা বিদেশি জঙ্গিরা প্রমাণ করার চেষ্টা করতে লাগল—এগুলো আন্তর্জাতিক জঙ্গি বাহিনীর অংশ। বিষয়টি নিশ্চয়ই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অরল্যান্ডোতে একজন মানুষ কিছুদিন আগে একটা নাইটক্লাবে গুলি করে প্রায় ৫০ জন মানুষকে মেরে ফেলেছিল। হত্যাকাণ্ড শুরু করার আগে সে টেলিফোন করে নিজেকে আইএসের একজন কর্মী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাবি করেছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আইএসের কোনো সম্পর্ক নেই। ইন্টারনেটের এই যুগে হিংসার ‘আদর্শ’ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সত্যিকারের যোগাযোগের প্রয়োজন নেই, একটি ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কের যোগাযোগই যথেষ্ট। এ দেশের কিছু জঙ্গি তরুণের কাছে আইএস একটা ব্র্যান্ডের মতো, তারা এই দেশে সেই ব্র্যান্ডটির ফ্র্যাঞ্চাইজ নিতে চায়। আইএস যে নৃশংসতা করে পৃথিবীতে নিজেদের পরিচিত করেছে, বাংলাদেশের কিছু জঙ্গি যদি সেই একই নৃশংসতা করে দেখাতে পারে, তাহলে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজ দিতে বাধা কোথায়? মধ্যপ্রাচ্যে আইএস যখন ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে উঠছে, তখন একেবারে বিনা পরিশ্রমে তারা যদি পৃথিবীর অন্য দেশেও নিজেদের একটু প্রচার করতে পারে তাহলে তারা কেন সেই সুযোগ নেবে না? কাজেই এই দেশে আইএস আছে কিংবা আইএস নেই, এই বিতর্ক সবাইকে সন্তুষ্ট করে শেষ করা যাবে, তা নয়। এই দেশে আইএসের আদর্শে বিশ্বাস করে একেবারে নিরপরাধ নারী-পুরুষকে হত্যা করার মতো কিছু তরুণের জন্ম হয়েছে, এটিই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।

একজন তরুণের শুধু যদি এ রকম একটি মানসিকতা হয়ে যায়, তাহলেই সে যে এই দেশে ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলতে পারবে, তা নয়। এ রকম ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য তার অস্ত্রের দরকার, গোলাবারুদ দরকার, অস্ত্র ব্যবহার করার ট্রেনিং দরকার। আমাদের খুবই দুর্ভাগ্য, এই তরুণদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে এবং সেই অস্ত্র ব্যবহার করার ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। কারা এই কাজটি করেছে আমরা সেটি জানি না, তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে, এ দেশের মাটি থেকে এই জঙ্গিদের নির্মূল করতে হলে ধরাছোঁয়ার বাইরের সেই অদৃশ্য মানুষগুলোকে ধরতে হবে। তারা কারা আমরা জানি না, শুধু অনুমান করতে পারি আমাদের এই দেশটির জন্য তাদের বিন্দুমাত্র মমতা নেই। পৃথিবীর সামনে এই দেশটিকে অসম্মান করা ছাড়া তাদের আর কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে, আমি জানি না।

৩.
গুলশান ক্যাফের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর দেশ থেকে আমার কাছে অনেক ই-মেইল এসেছে, যেখানে কম বয়সী ছেলেমেয়েরা দেশের অবস্থা নিয়ে এক ধরনের ভয়-আতঙ্ক, হতাশা এবং দুঃখ প্রকাশ করেছে। আমি তাদের মনের অবস্থাটা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারি। আমি নিজে যেভাবে সান্ত্বনা পাওয়ার চেষ্টা করি, তাদের ঘুরেফিরে সেই কথাগুলোই বলেছি। আমি তাদের বলেছি, এটি যে শুধু বাংলাদেশের সমস্যা, তা নয়; সারা পৃথিবীতেই এই ব্যাপারগুলো ঘটছে। ইউরোপের বড় বড় দেশেও হুবহু একই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটে যাচ্ছে, তাদের হাজার রকম আধুনিক প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ পাওয়া পুলিশ, নিখুঁত ইন্টেলিজেন্স থাকার পরও মাঝেমধ্যেই এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আমি আগে বেশ কয়েকবার ইউরোপে এসেছি, দেশগুলোকে সব সময়েই ছিমছাম শান্তিপূর্ণ মনে হয়েছে। এবারে একটা পার্থক্য চোখে পড়েছে এয়ারপোর্টে, শহরের মোড়ে, ট্রেনস্টেশনে একটু পর পর সশস্ত্র পুলিশ। প্লেনে ওঠার আগে যেভাবে স্যুটকেস এক্স-রে করে প্লেনে তোলা হয়, এখন ট্রেনের বেলাতেও তাই। যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নানা রকম নিরাপত্তাবলয় পার হয়ে ট্রেনে উঠতে হয়। সারা পৃথিবীতেই যদি মানুষকে বাড়তি সতর্কতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়, তাহলে বাংলাদেশ তার বাইরে কীভাবে থাকবে?

তবে বাংলাদেশকে নিয়ে আমি ভিন্ন একটি বিষয়ে আশাবাদী। সেটি হচ্ছে এই দেশের মানুষের ভেতর একধরনের স্নেহপ্রবণ কোমল সারল্য আছে, তারা ধর্মপ্রাণ এবং ধর্মভীরু, কিন্তু কখনোই ধর্মান্ধ নয়। তারা কোনো কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি পছন্দ করে না। উগ্র মানসিকতার দেশগুলোতে জঙ্গিবাদ যেভাবে শিকড় গজিয়ে ফেলতে পারবে, এই দেশে সেটি কখনো সম্ভব হবে না। সরকার যদি কখনো এদের পক্ষে চলে যায়, তখন পুরো ব্যাপারটি বিপজ্জনক হতে পারে, কিন্তু বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ক্ষমতায় চলে আসার পর প্রায় সে রকম একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছিল, কিন্তু আমরা সেটি পার হয়ে এসেছি।

আমি যেহেতু এ মুহূর্তে দেশের বাইরে, তাই সরাসরি দেশের হৃদস্পন্দনটি ধরতে পারছি না। তবে ইন্টারনেটে দেশের খবরাখবর পড়ে অনুমান করছি, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার যথেষ্ট কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ‘বিষয়গুলো স্পর্শকাতর’ তাই এগুলো নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না—সেই মনোভাবেরও পরিবর্তন হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে নিষিদ্ধ হয়ে থাকা জাকির নায়েককেও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেসব তরুণ অবিশ্বাস্য নিষ্ঠুরতায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের অনেকেই যে জাকির নায়েকের বক্তব্য নিয়মিতভাবে শুনত, সেটি মোটেও বিস্ময়ের কোনো ব্যাপার নয়। নতুন পৃথিবীতে মানুষ অনেক বেশি সহিষ্ণু হবে, তারা শুধু যে অন্য ধর্ম, অন্য বর্ণ, অন্য কালচারের মানুষকে বুক আগলে রক্ষা করবে, তা নয়; এই পৃথিবীর পশুপাখি, গাছপালাকেও রক্ষা করবে। তাই যখন কেউ নিজের ধর্মকে ব্যাখ্যা করার জন্য অন্য ধর্মকে উপহাস করতে থাকে, সেটি পৃথিবীর জন্য শুভ হতে পারে না।

গুলশানের ক্যাফেতে এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর আমার ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই নিজের মতো করে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে। কমবয়সী কোনো ছেলে বা মেয়ে না বুঝে যেন জঙ্গিদের পেতে রাখা কোনো ফাঁদে পা দিয়ে না ফেলে, সে জন্য তাদের কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে—সেটিও তারা প্রচার করার চেষ্টা করছে। আমার মনে হয়, যেটা ঘটে গেছে সেটা নিয়ে শুধু আলোচনা-সমালোচনা হাহাকার বিষোদ্গার না করে এ রকম একটা কাজ করার গুরুত্ব অনেক বেশি।

আমরা কেউই অস্বীকার করতে পারব না, বিত্তশালী পরিবার থেকে উঠে আসা ও ভালো পরিবেশে লেখাপড়া করা কিছু তরুণের অবিশ্বাস্য নিষ্ঠুরতার বিষয়টি আমরা কেউই গ্রহণ করতে পারিনি। এ ঘটনার পাশাপাশি যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি কি কম অবিশ্বাস্য? ঠিক একই বয়সের তরুণ ফারাজ আইয়াজ হোসেন, গুলশান ক্যাফেতে সে যখন বুঝতে পেরেছে তাকে মুক্তি দেওয়া হলেও তার বান্ধবীদের মেরে ফেলা হবে, তখন সে তাদের ফেলে রেখে নিজের জীবন বাঁচাতে রাজি হয়নি। তাকেও নিষ্ঠুরভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত খবরটি পড়ে সারা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ অশ্রুসজল হয়ে উঠেছে। মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসার এর থেকে বড় উদাহরণ পৃথিবীতে আর কয়টি আছে?

যে দেশের মাটি ফারাজ আইয়াজ হোসেনের মতো তরুণের জন্ম দেয়, আমি কেন সেই দেশকে নিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হব?

লেখক : কথাসাহিত্যিক, শিক্ষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল সাদাসিধে কথা

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. সিনেমার বাজেট ৯০ কোটি, তিন দিনে ৬০ কোটির ঘরে ‘সিতারে জমিন পার’
  2. বক্স অফিসে ঘুরে দাঁড়াল আমির খান, দ্বিতীয় দিনে বাজিমাত
  3. ফের বক্স অফিসে ব্যর্থ হচ্ছেন আমির খান?
  4. করণ জোহরের শো থেকে বাদ পড়লেন চার প্রতিযোগী
  5. ১২০ কোটির প্রস্তাব ফেরালেন আমির, ওটিটিতে মুক্তি দেবেন না সিনেমা?
  6. মাত্র ৫০০ টাকা নিয়ে মুম্বাই এসেছিলেন দিশা পাটানি
সর্বাধিক পঠিত

সিনেমার বাজেট ৯০ কোটি, তিন দিনে ৬০ কোটির ঘরে ‘সিতারে জমিন পার’

বক্স অফিসে ঘুরে দাঁড়াল আমির খান, দ্বিতীয় দিনে বাজিমাত

ফের বক্স অফিসে ব্যর্থ হচ্ছেন আমির খান?

করণ জোহরের শো থেকে বাদ পড়লেন চার প্রতিযোগী

১২০ কোটির প্রস্তাব ফেরালেন আমির, ওটিটিতে মুক্তি দেবেন না সিনেমা?

ভিডিও
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৩
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৩
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৬১
এই সময় : পর্ব ৩৮৩৪
এই সময় : পর্ব ৩৮৩৪
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৮
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬১
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬১
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৮
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৮
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
গানের বাজার, পর্ব ২৩৭

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x