লভ্যাংশ দেবে না এটলাস বাংলাদেশ, প্রান্তিকে লোকসান কমেছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘বি’ ক্যাটাগরির এটলাস বাংলাদেশ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের (জুলাই-জুন) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই শূন্য লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে।
আজ রোববার (১২ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে এটলাস বাংলাদেশের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে (২০২১-২০২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল এক টাকা ৪৭ পয়সা। সেই হিসেবে সমাপ্ত অর্থবছরে লোকসান বেড়েছে এক টাকা ৪৬ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) নেগেটিভ এক টাকা ৫৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের এনওসিএফপিএস ছিল ৭৮ পয়সা।
গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর, বেলা ১১টায়। লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩০ নভেম্বর।
একই দিন চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটিতে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬১ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৬৫ পয়সা। সেই হিসেবে কোম্পানিটির লোকসান কমেছে চার পয়সা। ওই সময় এনওসিএফপিএস হয়েছে দুই পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল নেগেটিভ আট পয়সা। চলতি অর্থবছরের ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা।
১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এটলাস বাংলাদেশ। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ১০৮টি। রিজার্ভ রয়েছে ৩৬৯ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। রোববার লেনদেন শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ১০৪ টাকা টাকা ২০ পয়সা। সরকার কোম্পানিটির ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারন করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং সাধারন বিনিয়োগকারীরা ৩২ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।