২০১৯ সালে নেপালে এসএ গেমসে অংশ নিয়েছিলেন রোমান সানা-বিউটি রায়রা। করোনাভাইরাসের কারণে আর কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি বাংলাদেশি আর্চাররা। এবার লম্বা বিরতি দিয়ে সুইজারল্যান্ডের লুসানে বিশ্বকাপ স্টেজ-২ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ আর্চারি দল।

আগামী জুনে ফ্রান্সে আর্চারি বিশ্বকাপ স্টেজ-৩ হবে। সেখানে সুযোগ থাকবে টোকিও অলিম্পিকের কোটা পাওয়া। তাই লুসানের প্রতিযোগিতাটিও প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিচ্ছে আর্চারি ফেডারেশন।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক বলেন, ‘গত বছর লকডাউনের পর পাঁচ মাস আমরা কোনো কিছু (অনুশীলন) করতে পারিনি। তবে আর্চাররা চেষ্টা করেছে ফিটনেস ধরে রাখতে। গত মার্চে জাতীয় আর্চারিতে খেলেছে। এরপর বাংলাদেশ গেমস খেলেছে। সেখানে তারা নিজেদের পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে। এখন আমরা দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছি। সেখানে আর্চারদের পারফরম্যান্স দেখা হবে। তারা কোন পর্যায়ে আছে। এছাড়া আমরা যদি কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারি তা হবে সন্তোষজনক। তাহলে প্যারিসের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে নেওয়া হবে।’

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা মানেই রোমান সানাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আর্চারির পোস্টার বয়ের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। তবে সর্বশেষ ট্রায়ালে ভালো করেছেন তিনি। এছাড়া হাকিম আহমেদ রুবেল ও অসীম কুমার দাসরা ভালো করছেন।

দল নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশ গেমসের পারফরম্যান্সে রোমান খুশি ছিল না। কিন্তু তিন দিনের ট্রায়ালে সে ৩৩৩০ স্কোর করে প্রথম হয়েছে। রুবেলের স্কোর ৩২৮৮। রোমান একদিন ৬৭৯ স্কোর করেছিল, জাতীয় রেকর্ড ৬৮৬। রুবেল একদিন ৬৮০ করেছিল। অসীম খুবই ভালো করেছে (৭০৪)। আশা করছি রোমান সহ বাকীরা ভালো করতে পারবে।’

লুজানে প্রতিযোগিতায় ৩৫টি দেশ অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ দল যাবে ১৬ মে। আগের মতোই দলে রিকার্ভ ইভেন্টের খেলোয়াড় বেশি রয়েছে সাত জন। রিকার্ভের পুরুষ ও মহিলা একক, দলীয় এবং মিক্সড-এই পাঁচ ইভেন্টে অংশ নিবেন আর্চাররা। কম্পাউন্ড ইভেন্টে লড়বেন শুধু অসীম কুমার দাস।

২১ জুন প্যারিসে শুরু হবে স্টেজ-৩ প্রতিযোগিতা। সেখানে ছেলে ও মেয়েদের রিকার্ভ টিম এবং মেয়েদের একক-এই তিন ইভেন্ট থেকে তিনটি কোটা প্লেস পাওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। এ প্রতিযোগিতা সামনে রেখেই লুসানে নিজেদের পরখ করে নেওয়ার কথা বললেন জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক।