পাকিস্তান দলে ফিরছেন আমির?

এবারের বিপিএলের অন্যতম আলোচিত ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির। তাঁর দল চিটাগং ভাইকিংস আট ম্যাচে মাত্র চার পয়েন্ট নিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায়। তবে আমিরের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স। ১১ উইকেট নিয়ে তিনি এখন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। ব্যক্তিগত সাফল্যে ভাস্বর আমির খুব শিগগিরি একটা সুখবরও পেতে পারেন। পাকিস্তান জাতীয় দলে ফিরতে পারেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান ও কোচ ওয়াকার ইউনিসের কথায় তেমনই ইঙ্গিত।
২০১০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে যে অপরাধ করেছিলেন সেজন্য কম শাস্তি পাননি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তিই শুধু নয়, কারাদণ্ডও হয়েছিল আমিরের। তবে কম বয়সের কারণে বড়দের কারাগার নয়, তাঁর জায়গা হয়েছিল কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে।
সেই ভয়াবহ দুঃসময়কে পেছনে ফেলে ক্রিকেট মাঠে ফিরেই বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন আমির। বাংলাদেশে আসার আগে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। শুরুটা করেছেন অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে ২২ উইকেট নিয়ে। তারপর পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কায়দে আযম ট্রফির বাছাইপর্বের চার ম্যাচে দুরন্ত পারফরম্যান্সে ৩৪ উইকেট। সবশেষে মূল প্রতিযোগিতায় ১৭ উইকেট। এই দুই প্রতিযোগিতায় দুটো অর্ধশতক আমিরের ব্যাটিং-সামর্থ্যেরও সাক্ষ্য দিচ্ছে।
সব মিলিয়ে এই প্রতিভাবান বাঁ-হাতি পেসারের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট শাহরিয়ার খান, ‘গত চার-পাঁচ মাসে আমিরের পারফরম্যান্স ভালোই ছিল। (জাতীয় দলে) ফেরার দরজায় কড়া নাড়ছে সে। আমরা শুধু তাকে বলব যে তোমার আচরণ ঠিক করতে হবে। কারণ মানুষ তোমার ব্যবহারও বিচার করবে।’
গত মাসে মোহাম্মদ হাফিজ সরাসরি জানিয়েছিলেন আমির ফিরলে পাকিস্তান দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। শুধু আমিরের কারণে চিটাগং ভাইকিংসে খেলার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে ওয়াকার এতটা ‘নির্দয়’ নন। পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার বরং আমিরের ফেরার সম্ভাবনাকে স্বাগতই জানাচ্ছেন, ‘আমির বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অনুমতি পেয়েছে। এটা খুবই ভালো ব্যাপার। সে প্রমাণ করে চলেছে যে সে সঠিক পথেই আছে। আমাদের দায়িত্ব তাকে আরেকটি সুযোগ দেওয়া।’