শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরাজের নতুন চ্যালেঞ্জ শুরু কাল

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। কিন্তু শেষটা হয়েছিল হতাশায় মোড়ানো। প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানেডতে সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলে রঙিন হওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের। নতুন মিশনে আগামীকাল বুধবার (২ জুলাই) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়। সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।
বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজটি একটু বিশেষ। কারণ লঙ্কানদের বিপক্ষে যাত্রা শুরু করবে এক নতুন বাংলাদেশ। যার নাবিক করা হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে। হঠাৎ করে নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয় হয় মিরাজকে। তবে প্রথম সিরিজেই অগ্নি পরীক্ষা দিতে হবে মিরাজকে। পরিসংখ্যান সেটার জানান দিচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, শ্রীলংকার মাটিতে বাংলাদেশের ওয়ানডে রেকর্ড বেশ হতাশাজনক। ২৪ ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। সমান সংখ্যক ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছে। আর বাকি ২০টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। এর ওপর শ্রীলংকার মাটিতে সর্বশেষ ছয় ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত শ্রীলংকার বিপক্ষে ৫৭ ম্যাচ খেলে মাত্র ১২টি জিতেছে বাংলাদেশ। আর হেরেছে ৪৩ ম্যাচে। দুটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
তবে দুই দলের শেষ পাঁচ দেখায় তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ আর দু’টিতে হেরেছে। এটার সঙ্গে বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও অনুপ্রেরণা দিবে সর্বশেষ সিরিজ। ২০২৪ সালের মার্চে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা। অবশ্য এ সিরিজটি হয়েছিল বাংলাদেশর মাটিতে। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক মিরাজও সেটাই বলেছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে দুই দেশের সমর্থকদের মাঝে। এই দুই দলের লড়াই মানে সমর্থকদের মধ্যে অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করে। হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াই দেখা যায়। সেই লড়াইয়ের জন্য অবশ্য দায়িত্ব নিতে হবে টাইগার ব্যাটারদের। যেটা বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা। টেস্ট সিরিজেও লজ্জাজনক পরিস্থিতি হয়েছিল এই ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই।
তার ওপর টাইগার ব্যাটারদের ভঙ্গুর অবস্থার সুযোগ নিতে মুখিয়ে আছে লঙ্কান স্পিনাররা। শান্ত-লিটনদের চ্যালেঞ্জ জানাতে স্কোয়াডে পাঁচজন স্পিনার রেখেছে শ্রীলঙ্কা। যেখানে বেশ ভ্যারিয়েশন আছে। অফ স্পিন, লেগ স্পিন থেকে চায়নাম্যান সবই আছে লঙ্কানদের স্কোয়াডে।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বড় এক দুর্বলতা ওপেনিং পজিশন। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন জনকে চেষ্টা করা হচ্ছে এই পজিশনের জন্য। কিন্তু কোনো জুটিই সফল হতে পারছে না। আগামীকাল নতুন করে সেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরমেন্সের সুবাদে আড়াই বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন তিনি।
এছাড়া দলে ফিরেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ না পাওয়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন দাস, মিডল অর্ডার ব্যাটার শামীম পাটোয়ারী এবং বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।
গত বছর দুয়েক বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটের কান্ডারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। কিন্তু ইনজুরিতে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আবারও দলে ফিরেছন তিনি। যেটা বাংলাদেশকে বাড়তি শক্তি জোগাবে।