সিরিজ জিতলেও স্বপ্ন পূরণ হলো না বাংলাদেশের

আগের দুই ম্যাচ ছিল রান খরার। এতে বেশ সমালোচনাও হয়েছে। সেই খরা কাটিয়ে মিরপুরে আজ চার-ছক্কার বৃষ্টি দেখিয়েছে পাকিস্তান। এতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে বড় রানের পুঁজি দাঁড় করায় সফরকারীরা। সেই রান তাড়ায় নেমে পৃষ্ঠ হয়েছে বাংলাদেশ। এতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের যে আশা জেগেছিল সেটি অঙ্কুরিত হতে পারেনি। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায় পাকিস্তান। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৬.৪ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। ফলে ৭৪ রানের জয় পায় পাকিস্তান।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। শুরু থেকেই ব্যাটিং ধ্বসে পড়ে লিটন দাসের দল। মাত্র ৪৭ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরে যান ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৮ বলে ৮ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক লিটন দাসও।
তিন ম্যাচ পরে একাদশে ফেরা মিরাজ করতে পেরেছেন মোটে ৯ রান। যাওয়া-আসার এই মিছিল লম্বা করেছেন ১ রান করা জাকের আলী অনিক আর কোনো রান না করা শেখ মাহেদি হাসান।
আশা দেখানো শামীম হোসেনও ফিরেছেন নিরাশ করে। দ্বিতীয় ম্যাচের মতো এদিনও কাট করতে গিয়ে ইনসাইড লেগে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ফেরার আগে করেছেন ৫ বলে ৫ রান। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখও। অনেকখন উইকেটে কাটিয়ে টেস্ট সুলভ ব্যাটিং করে ফিরেছেন তিনি। ১৭ বল থেকে করতে পেরেছেন মোটে ১০ রান।
সাইফউদ্দিনকে সঙ্গ দিতে নেমে বেশি সময় থাকতে পারেননি নাসুম আহমেদ আর তাসকিন আহমেদ। ১৩ বলে ৯ রান করে ফেরেন নাসুম আর তাসিকন ফেরেন ৬ বলে ৭ রান করে।
বাকিদের ফেরার ভিড়েও চেষ্টা করে যান সাইফউদ্দিন। তবে তার এই চেষ্টা কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সমান দুই চার আর ছক্কায় ৩৪ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ঝড় তোলেন সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। ৭.৫ ওভারে করেন ৮২ রানের জুটি। ১৫ বলে ২১ রান করা আইয়ুবকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে উইকেটের মুখ দেখান নাসুম আহমেদ। ফারহানও শিকার হন নাসুমের। ৪১ বলে ৬৩ রান করে ফেরেন তিনি।
তাসকিন সুবিধা করতে দেননি মোহাম্মদ হারিসকে। ১৪ বলে ৫ রান করে বিদায় নেন তিনি। দ্রুত কয়েকটি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে কিছুটা চেপে ধরে বাংলাদেশ। শেষদিকে দুটি ক্যামিও ইনিংস খেলে অবশ্য পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের বড় পুঁজি তুলে দেন হাসান নাওয়াজ আর মোহাম্মদ নাওয়াজ। ১৭ বলে ৩৩ রান করে শরিফুলের বলে বিদায় নেন হাসান নাওয়াজ আর ১৬ বলে ২৭ রান করে তাসকিনের বলে বিদায় নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭৮/৭ (সাহিবজাদা ৬৩, সাইম ২১, হারিস ৫, হাসান নাওয়াজ ৩৩, তালাত ১, মোহাম্মদ নাওয়াজ ২৭, ফাহিম ৪, সালমান ১২*, আব্বাস আফ্রিদি ০*; মাহেদি হাসান ৩-০-৩৬-০, শরিফুল ৪-০-৩৯-১, তাসকিন ৪-০-৩৮-৩, নাসুম ৪-০-২২-২, সাইফউদ্দিন ৪-০-২৮-১, মিরাজ ১-০-১৪-০)
বাংলাদেশ: ১৬.৪ ওভারে ১০৪/১০ (তামিম ০, নাঈম ১০, লিটন ৮, মিরাজ ৯, জাকের ১, মাহেদি ০, শামীম ৫, নাসুম ৯, তাসকিন ৭, শরিফুল ৭, সাইফউদ্দিন ৩৫*; সালমান মির্জা ৪-০-১৯-৩, ফাহিম ২-০-১৩-২, দানিয়েল ৩-০-১৬-১, সালমান আগা ২-০১২-১, আইয়ুব ১-০-২-০, তালাত ৩-০-৩২-১, মোহাম্মদ নাওয়াজ ১.৪-০-৪-২)