স্টোকসের হ্যান্ডশেক কাণ্ড নিয়ে যা বললেন গম্ভীর

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির চতুর্থ টেস্টে যেভাবে ড্র করেছে ভারত, তা কোনো অংশে জয়ের চেয়ে কম নয়। ভারতীয় ব্যাটাররা দারুণভাবে ম্যাচটাকে দিনের শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন। ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটারদের বীরত্ব ছাপিয়ে আলোচনা হচ্ছে অন্য বিষয় নিয়ে। পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি ছিলেন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস তাদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে যান ড্র মেনে নেওয়ার জন্য। যা প্রত্যাখান করেন জাদেজা-সুন্দর। ম্যাচের পর এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর।
রোববার (২৭ জুলাই) ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের পঞ্চম দিনের ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্ত আসে দিনের ১৫ ওভার বাকি থাকতে। জাদেজা তখন সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরে, আর সুন্দরের দরকার ২০ রান। তখনই ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস ড্র মেনে নিতে দুই ব্যাটারের সঙ্গে হাত মেলাতে এগিয়ে যান। কিন্তু জাদেজা ও সুন্দর দুজনের কেউই হাত মেলাননি। এরপর স্টোকস আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে আবারও জাদেজাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। পরবর্তীতে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে ড্র মেনে নেয়।
এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে গম্ভীর পাল্টা প্রশ্নই ছুঁড়ে দেন সবার কাছে। তিনি বলেন, ‘যদি একজন ৯০ রানে আর অন্যজন ৮৫ রানে অপরাজিত থাকে, তবে তারা কি শতরান পাওয়ার যোগ্য নয়?’ তারা কি মাঠ ছেড়ে চলে যেত? যদি ইংল্যান্ডের কেউ ৯০ বা ৮৫ রানে ব্যাট করত এবং নিজের প্রথম টেস্ট শতরান করার সুযোগ থাকত, তবে কি তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হতো না?’
সুন্দর ও জাদেজার সেঞ্চুরি করা নিয়ে গম্ভীর বলেন, ‘দেখুন, এটা তাদের সিদ্ধান্ত। তারা যদি এভাবে খেলতে চায়, সেটা তাদের ব্যাপার। আমি মনে করি, তারা দুজনই শতরান পাওয়ার যোগ্য ছিল এবং তারা সেটা পেয়েছে।’
ইংলিশ অধিনায়ক বলেছেন তিনি নিজেদের বোলারদের কথা ভেবে এমনটি করতে চেয়েছেন। স্টোকস বলেন, ‘আমরা জয়ের উদ্দেশে মূল বোলারদের দিয়ে খেলাটা যতদূর সম্ভব টেনে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যে মুহূর্তে বুঝতে পারি ড্র অনিবার্য, তখন আর আমি মূল বোলারদের নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনি। এই পুরো সপ্তাহে এবং সিরিজ জুড়ে তাদের ওপর চাপ অনেক বেশি ছিল।’
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ইংল্যান্ড এগিয়ে আছে ২-১ ব্যবধানে। সিরিজের শেষ ও নির্ধারণী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ওভালে। সিরিজ বাঁচাতে হলে সেই ম্যাচে ভারতের জয়টা অনিবার্য।