ইন্টারনেট পৌঁছে যাচ্ছে হাতে হাতে। পিছিয়ে নেই বাচ্চারাও। মা-বাবারা তাই সব সময়ই দুশ্চিন্তায় থাকেন তাঁদের সন্তানরা ইন্টারনেটে কী করছে, তা নিয়ে। আর দুশ্চিন্তার একটি বড় অংশ হচ্ছে ইউটিউব।

বিশাল এই ভিডিও ভাণ্ডারে সন্তানরা কি তাদের জন্য উপযোগী ভিডিও দেখছে নাকি সারা দিন বসে জাস্টিন বিবারের গান দেখছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে করতে অনেক মা-বাবার ঘুম হারাম প্রায়।

অন্তত অস্ট্রেলিয়ার অভিভাবকরা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেন এবার। দেশটিতে এই সপ্তাহে ‘ইউটিউব কিডস’ নামে একটি অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে, যেটি তৈরি করা হয়েছে শিশুদের কথা মাথায় রেখে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গিয়েছে।

অবশ্য এর আগেই শিশুদের জন্য ইউটিউব কিডস নামে ইউটিউবের নতুন একটি সংস্করণ খোলার ঘোষণা দিয়েছিল ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।

নতুন এই অ্যাপের মাধ্যমে শুধু শিশুদের জন্য উপযুক্ত ভিডিওই দেখা যাবে। অ্যাপটি শুধু আইওএস ও অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চালিত ডিভাইসে চলবে। তাই এটি বর্তমানে গুগল প্লে ও অ্যাপল স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে।

ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু হয়ে অ্যাপটি সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত এক কোটির বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। ইউটিউবের ‘ফ্যামিলি অ্যান্ড লার্নিং’ হেড মালিক ডুকার্ড এক বিবৃতিতে জানান, এই অ্যাপের সব কন্টেন্ট চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে—‘শোজ,’ ‘মিউজিক,’ ‘লার্নিং’ ও ‘এক্সপ্লোর।’

ফ্র্যাঞ্চাইজ ভিডিওগুলো শিশুদের উপযুক্ত কি না, তার ওপর ভিত্তি করে সেগুলো মেশানো হবে ক্যাটাগরিগুলোর সঙ্গে। তবে ম্যাশেবল জানিয়েছে, এখানে বিজ্ঞাপনও প্রদর্শন করা হবে।

এটি কতটুক সফল হবে, সেটি এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে শিশুদের ইন্টারনেট কর্মকাণ্ডের ওপর অভিভাবক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় এটি একটি ভালো উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। অ্যাপটি তৈরির সময়, এমনকি পাঁচ বছরের ছোট বয়সী বাচ্চাদের কথা চিন্তা করা হয়েছে। বড় বড় আইকন এবং ভয়েস সার্চের মতো সুবিধাগুলো তাই যোগ হয়েছে এখানে।