কাতার-সংকট নিরসনে আলজাজিরা বন্ধের শর্ত

সংকট নিরসনের জন্য কাতারের কাছে ১৩টি দাবি পাঠিয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন চার দেশ। এর মধ্যে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা বন্ধের কথাও রয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে কাতারের কূটনৈতিক সম্পর্কের হ্রাস টানা ছাড়াও সেখানে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধের দাবিও রয়েছে।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশসহ মোট সাতটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। সৌদি আরবের পাশাপাশি অন্য দেশগুলো হচ্ছে—বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন, লেবানন, মিসর ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। এসব দেশের অভিযোগ সন্ত্রাসবাদে সমর্থন জুগিয়েছে কাতার।
যদিও কাতার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
১৩ দফা দাবির তালিকা কুয়েতের মাধ্যমে দোহার কাছে পাঠানো হয়েছে। কুয়েত কাতার-সংকট নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের কথা জানিয়েছে। দাবিনামা পূরণের জন্য কাতারকে ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে বলেও রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে তা না মানলে দাবিনামার আর কোনো মূল্য থাকবে না।
এ ব্যাপারে কাতারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গত সোমবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল থানি জানিয়েছেন, অবরোধ তুলে না নিলে সম্পর্কচ্ছেদ করা আরব দেশের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরের কয়েক দিনের মাথায় কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা আসে। এতে বেশ কিছু বিষয়ে অবরোধ আরোপ করা হয়। প্রতিবেশীদের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বেশ সমস্যায় পড়েছে কাতার। দেশটির শতকরা ৮০ শতাংশ খাবার আমদানিনির্ভর। কিন্তু প্রতিবেশীদের সঙ্গে স্থল ও আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধের পর বন্ধ হয়েছে আমদানি। এতে খাবারশূন্য হয়ে পড়েছে কাতারের বাজারগুলো।
এই দুঃসময়ে আরব মিত্র দেশগুলোর মধ্যে কুয়েত কিছুটা কূটনৈতিকভাবে সাহায্য করেছে কাতারকে। এর বাইরে অনারব দুই দেশ তুরস্ক ও ইরান পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। তাঁরা কাতারে খাদ্যসামগ্রীও পাঠিয়েছে।