হাতির জ্বালায় গাছের আগায় বাড়ি!

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের একটি অঞ্চল কিয়াত চুয়াং। বনবেষ্টিত অঞ্চলটিতে বিপুল মানুষের জীবিকার একমাত্র উপায় কৃষি। কিন্তু সেই কৃষিজাত পণ্য রক্ষা করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এমনকি নিজেদের প্রাণ বাঁচাতেও অনেক সময় বেগ পেতে হয়। কিয়াত চুয়াংবাসীর আতঙ্কের নাম হাতি।
গত কয়েক বছরে অঞ্চলটিতে বুনো হাতির দল ফসল নষ্টের পাশাপাশি বেশ কিছু মানুষকে হত্যা করেছে। ত্যক্ত-বিরক্ত মানুষ উপায় খুঁজছিল পরিত্রাণের। অবশেষে উঁচু স্থানে থাকা কিছু গাছে বাড়ি বানানোকেই তাঁরা একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর সে পথে হেঁটে উপকার পেয়েছে কিয়াত চুয়াংবাসী।
গাছের আগার বাড়ি দেখতে সম্প্রতি কিয়াত চুয়াংয়ের তাইক কি গ্রামে যায় বার্তা সংস্থা এএফপির অনুসন্ধানী দল। সেই অনুসন্ধানে জানা যায়, গাছের আগায় বাড়ি করার পর থেকে গ্রামবাসী এখন অনেকটা স্বস্তিতে আছে। তিন বছর আগে যখন হাতি তাণ্ডব চালিয়েছিল, তখন এমন কোনো ব্যবস্থা থাকলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারত তারা।
গাছে থাকা বাড়ি প্রসঙ্গে কয়েকজন বাসিন্দা এএফপিকে জানায়, তারা গাছের সঙ্গে একটি মই রেখেছে। প্রয়োজন হলে সেই মই বেয়ে ঘরে ঢুকে যায়।
তাই কি গ্রামের বাসিন্দা সান লুইন বলেন, ‘প্রয়োজনেই আমরা গাছে বাড়ি বানিয়েছি, যাতে নিরাপদে থাকা যায়।’
মিয়ানমারে বুনো হাতির জ্বালাতন নতুন বিষয় নয়। দেশটিতে প্রতি বছরই বহু মানুষ মারা যায় হাতির আক্রমণে। তবে আশার কথা হলো, অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের সরকার এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজবে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছে।