ভারত-পাকিস্তান সেনাদের ফের গোলাগুলি

টানা ষষ্ঠ দিনের মতো ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) সংলগ্ন বিভিন্ন সেক্টরে এ গোলাগুলি চলে। এতে সীমান্তজুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, পারগাওয়াল, নওশেরা, সুন্দরবানী ও আখনুর সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তানি সেনারা আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপার থেকে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ভারত পাল্টা গুলি চালিয়ে জবাব দেয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অযাচিত ছোট অস্ত্র ব্যবহারের’ অভিযোগ করেছে।
এর আগের রাতেও (২৮ এপ্রিল) দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। তখনও ভারত ‘পরিমিত ও কার্যকর’ জবাব দিয়েছে বলে জানায়।
গত সপ্তাহে পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ২৬ পর্যটক নিহতের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে দিল্লি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পেহেলগাম হামলার পেছনের সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত’ অনুসরণ করবে এবং শাস্তি দেবে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার অভিযোগ করেছেন, পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগগের’ ভিত্তিতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিশন দ্বারা বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পৃথকভাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পেহেলগাম হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহাসচিব তার ফোনকলে হামলার জন্য আইনানুগ উপায়ে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের মহাসচিব ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে দুই দেশের উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছেন।