ট্রাম্পের শুল্কারোপ ও মূল্যস্ফীতির শঙ্কার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

মূল্যস্ফীতির দুর্দশা আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে এক ধরনের অর্থনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে আজ শনিবার (৩ মে) সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা। এ ভোটের মাধ্যমে বর্তমান বামঘেঁষা প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ আবার ক্ষমতাসীন হতে যাচ্ছেন বলে আভাস পাওয়া গেলেও লেবার পার্টির রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী পিটার ডাটন বেশ শক্তভাবেই চ্যালেঞ্জ জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
নির্বাচনের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটগ্রহণের বিষয়ে আচ্ছন্ন ছিলেন, পাশাপাশি তার শুল্ক প্ররোচিত অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা একটি দেশের নির্বাচনকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী তীব্র আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
ভোটগ্রহণ শুরুর পর চ্যানেল সেভেনে এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, ‘পরপর নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াই এবার আমাদের ঈপ্সিত পবিত্র লক্ষ্য। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হলে আগামী তিন বছর আমি কোনো কাজই অপূর্ণ রাখব না।’
অন্যদিকে, নির্বাচনি জরিপে কয়েক শতাংশ পয়েন্ট পেছনে থাকা পিটার ডাটন চ্যানেল নাইনকে বলেছেন, এবার নীরব অস্ট্রেলিয়ানরা চমক দেখাতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা ভোটকেন্দ্রে যাবে আর বলবে–গত তিন বছরের কর্মকাণ্ডের জন্য আমি অ্যান্থনি আলবানিজকে আর পুরস্কৃত করতে চাই না।’
নির্বাচনের ভোট গণনা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ধারণা করা হচ্ছে, পিটার ডাটন পরাজিত হতে যাচ্ছেন। যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন কিনা, তিনি উত্তরে বলেন, ‘আমার বয়স ৫৪। আমি এখনও তরুণ, এদেশের জন্য কোনো কিছু করতে আমার প্রচণ্ড আবেগ ও উচ্ছ্বাস রয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ায় আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে পূর্ব তীরের অঞ্চলগুলোতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এরপর একে একে ভোটগ্রহণ করা হয় পশ্চিমাঞ্চলের এলাকা ও দূর-দূরান্তের দ্বীপপুঞ্জগুলোতে।
দেশটির ১ কোটি ৮১ লাখ ভোটার নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক ভোটারই অংশ নিয়েছেন আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগটিতে। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটিতে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, কেউ যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ না করেন, তবে তাকে ২০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৩ মার্কিন ডলার) জরিমানা দিতে হয়। আর এজন্যই দেশটির নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ৯০ শতাংশের ওপরে থাকে। যদি খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াই না হয়, তবে ৩৬ দিনের জমজমাট প্রচারণার পর আজ রাতের মধ্যেই পাওয়া যাবে ফলাফল।