‘গাজার বাসিন্দাদের কয়েক মাসের মধ্যে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হবে’

ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সম্প্রতি একটি মন্তব্যে বলেছেন, ‘কয়েক মাসের মধ্যেই’ গাজায় ইসরায়েলের ‘বিজয়’ ঘোষিত হবে। এই উপত্যকায় বাসিন্দাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হবে।’ আরুৎজ শেভা নামক একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
অফরায় অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের এক সম্মেলনে স্মোট্রিচ দাবি করেন, গাজা শিগগিরই ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়ে যাবে। সেখানকার বাসিন্দাদের দক্ষিণের দিকে ইসরায়েল-নির্মিত ‘নিরাপত্তা করিডোরে’ জড়ো করা হবে। সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে ‘তৃতীয় কোনো দেশে’ পাঠানো হবে।
স্মোট্রিচের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘স্থানান্তর’ করার বিষয়ে কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত চলছে। এই সংঘাতে সেখানকার অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৫২ হাজার ৬১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও এক লাখ ১৮ হাজার ৭৫২ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা আরও হাজার হাজার মানুষ মৃত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করা হয়েছিল।