নাইজেরিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ৩০

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পৃথক হামলায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পশুপালক এবং কৃষকদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ অঞ্চলে এটি সর্বশেষ হামলার ঘটনা।
বেনু রাজ্যের গোয়ার পশ্চিম স্থানীয় সরকার এলাকার চেয়ারম্যান অরমিন তোরসার ভিক্টর এএফপিকে বলেছেন, গত শুক্রবার (২৩ মে) থেকে রোববার (২৫ মে) পর্যন্ত তিনটি গ্রামে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি টেলিফোনে আরও জানান, ‘রোববার আওনদানা গ্রামে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে।’ এ ছাড়াও অন্য একটি গ্রামে আরও ১০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
আওনডোনার বাসিন্দা রুথি ড্যান স্যাম এএফপিকে বলেছেন, ‘এখানে আওনডোনায় ২০ জন নিহত হয়েছে। এই গ্রামে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদেরও হত্যা করা হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ দৃশ্য হল একটি শিশুর মুখে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়।’ পার্শ্ববর্তী গ্রামে আরও অনেকে নিহত হয়েছে বলে তিনি জানান, তবে তার কাছে কোনো নির্দিষ্ট হিসাব নেই।
ভিক্টর বলেন, তিনি ও অন্যান্য স্থানীয়রা একটি সামরিক ঘাঁটির খুব কাছে তেওয়া বিয়ানা গ্রামে নিহত এক বাবা এবং তার দুই ছেলেসহ পাঁচজনকে কবর দিয়েছেন।
বেনু রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র আনেন সেউয়েস ক্যাথেরিন এলাকায় দুটি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, তার অফিস ২০ জনের নিহত হওয়ার কোনো খবর পায়নি। তিনি জানান, একটি অভিযানে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন এবং ওই পুলিশ সদস্য একটি আক্রমণ প্রতিহত করেছেন ও তিনটি মরদেহ পাওয়া গেছে।
কী কারণে এই সহিংস ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। তবে তিবে ভিক্টর ফুলানি গবাদি পশুপালকদের ওপর সমন্বিত আক্রমণ এর জন্য দায়ী করেছেন।

সংঘাতের কারণ
জমি ও সম্পদের ওপর অধিকার নিয়ে বেনুতে মুসলিম জাতিগত ফুলানি যাযাবর পশুপালকরা দীর্ঘদিন ধরে বসতি স্থাপনকারী কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে, যাদের অনেকেই খ্রিস্টান। নাইজেরিয়ার তথাকথিত মিডল বেল্টে এই ধরনের আক্রমণগুলো প্রায়শই ধর্মীয় বা জাতিগত কারণে হয়ে থাকে। যাযাবর পশুপালক এবং কৃষকদের মধ্যে এই ধরনের সহিংসতার ফলে বেনু রাজ্যগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকরা পশুপালকদের তাদের গবাদি পশু চরানোর মাধ্যমে কৃষিজমি ধ্বংস করার জন্য দায়ী করে আসছে।