বিড়াল যেভাবে বদলে দিল রিতুর জীবন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে বসবাসরত ভারতীয় বিনিয়োগকারী রিতু চতুর্বেদী (৪৩) কখনো ভাবেননি যে একটি ‘ছোট্ট লোমের গোলা’ তার জীবনকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে। কিন্তু এক মাস বয়সী, বড় চোখের এক বিড়ালছানা তার জীবনে আসার পর ঠিক সেটাই ঘটেছে। রিতু বিড়ালছানাটির নাম রেখেছে ‘কোকো’। খবর গালফ নিউজের।
রিতু চতুর্বেদী হাসি মুখে বলেন, ‘কোকোর সঙ্গ গত চার মাসে আমার জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। দিন যতই কঠিন হোক না কেন, তার মৃদু গুঞ্জন ও ছোট্ট মাথা নাড়া মুহূর্তেই আমার মানসিক চাপ দূর করে দেয়।’
কোকো এখন পাঁচ মাস বয়সী। সে রিতুর জীবনে মানসিক সমর্থন এবং বাড়ির কৌতুক অভিনেতার ভূমিকা পালন করছে। রিতু তার কোকোর অদ্ভুত অভ্যাসগুলি মজার ছলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি অত্যন্ত সচেতন। সে বাড়ির সবচেয়ে ছোট পরিদর্শকের মতো আচরণ করে। যতবার ক্লিনার আসে, কোকো একজন সুপারভাইজারের মতো তাকে অনুসরণ করে।’
রিতু বলেন, কোকো কথা বলতেও ভালোবাসে। যদি আমি তার সঙ্গে কথা বলি, সে এমনভাবে ম্যাও ম্যাও করে জবাব দেয় যেন আমরা সত্যি সত্যি কথা বলছি। এছাড়া যখন সে কাজে ব্যস্ত থাকে না তখন বিস্ময় নিয়ে আইপ্যাডে বিড়ালের গেম দেখে, যেন ছোট্ট শিশু। আবার বিড়ালসুলভ অ্যাক্রোব্যাটের মতো তার প্রিয় খেলনা নিয়ে বাতাসে উড়ে বেড়ায়।

তবে কোকো শুধু খেলার ছলেই নয়। তার উপস্থিতি একটি গভীর বন্ধন তৈরি করেছে যা রিতুর কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। তিনি এক সন্ধ্যার কথা স্মরণ করেন বলেন, একদিন আমি মানসিকভাবে ভালো বোধ করছিলাম না, তখন সে আমার বুকের উপর গুটিয়ে শুয়ে ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমার পাশ ছেড়ে যায়নি। এটা অনেক ছোট আর স্বাভাবিক আচরণ ছিল, কিন্তু আমার কাছে এর অর্থ ছিল বিশাল।
ভারতীয় এই বিনিয়োগকারী বলেন, তার বিড়ালছানার প্রিয় খাবার চিকেন ফ্লেভারড ড্রুলস। প্যাকেটের শব্দ শুনলেই সে ছুটে আসে। আর যখন খেলার সময় হয়, তার প্রিয় টানেলের মধ্যে দিয়ে ছোটাছুটির চেয়ে ভালো আর কিছু হয় না।
রিতু চতুর্বেদী বলেন, ‘কোকো আমার জীবনে অনেক আনন্দ এনেছে। সে শুধু একটা পোষা প্রাণী নয় - সে আমার পরিবার।’