হামলা চালিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল : ইরান

ইসরায়েলের হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে অভিহিত করেছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শুক্রবারের হামলার জন্য ইসরায়েলকে ‘তিক্ত ও বেদনাদায়ক’ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এই হামলাকে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান যদি পারমাণবিক ইস্যুতে কোনো চুক্তিতে না পৌঁছে, তবে তাদের আরও করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। খবর এএফপির।
এদিকে ইসরায়েল বলেছে, শুক্রবারের (১৩ জুন) বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীতে নিয়োজিত বিমানবাহিনীর নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ মোট ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, হামলার জবাব দিতে ইরান প্রায় ১০০টি ড্রোন পাঠায়, তবে সেগুলো ইসরায়েলের মাটিতে আঘাত করার আগেই আকাশে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ জর্ডান জানিয়েছে, তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে বেশকিছু ড্রোন তারা ভূপাতিত করেছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক ইস্যুতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। আর তা না হলে আরও মৃত্যু ও ধ্বংসলীলার মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ইসরায়েলের এই হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নয় এবং মার্কিন লোকজন বা স্বার্থে ইরান যাতে আঘাত না করে, সে বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছে। তবে ইরান বলেছে, ওয়াশিংটনকে এই হামলার জন্য দায়ী করা হবে।
হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ইসরায়েলের হামলায় মারা গেছে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক। জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, হামলায় ৯৫ জন লোক আহত হয়েছে। দেশটির বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও রয়েছেন।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেন সালামি নিহত হয়েছেন বলে আগেই নিশ্চিত করেছে ইরানের বিভিন্ন গণমাধ্যম। এ ঘটনার পরপরই আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ওই দুই বাহিনীর শীর্ষ পদে নতুন কমান্ডার নিয়োগ দিয়েছেন।