যুদ্ধে জড়ানোয় কী হাল হবে ইরানের অর্থনীতির?

ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই দেশটির সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইরান। উসকানিমূলক হামলার পাল্টা জবাবও দিচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি। যুদ্ধ মানেই বাড়তি খরচ আর দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ। ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বিশেষ করে ইরানের অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে জানতে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক গ্লোবাল কাউন্সেলের পরিচালক আহমেদ হেলালের কাছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ খোলামেলা উত্তর দিয়েছেন তিনি। খবর আলজাজিরার।
আহমেদ হেলাল বলেন, ‘ইরান এই মুহূর্তে আগের চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। গত বেশ কয়েক যুগ ধরে তারা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে সময় পার করছে। বর্তমানে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। ইরানের মুদ্রা রিয়ালের দাম অনেক পড়ে গেছে এবং বিপুল সংখ্যক ইরানি নাগরিক গরিব হয়ে গেছে। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা এখন চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করছে। আর তাই এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে।’
আহমেদ হেলাল বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলার কারণে ইরানের অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়বে। ইসরায়েল তাদের হামলায় ইরানের অর্থনৈতিক অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে, হামলা করছে জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতেও।’

আহমেদ হেলাল আরও বলেন, ‘এই হামলাগুলোর মাধ্যমে ইসরায়েল এই সংকেত দিচ্ছে, তাদের লক্ষ্য কেবল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাই নয়, লক্ষ্য আছে শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনেরও। জ্বালানি স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে ইরানে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করছে ইসরায়েল। এর উদ্দেশ্য হলো জনসাধারণের ভেতর অস্থিরতা তৈরি করা। এভাবে দেশটির জনসাধারণ কিছুটা হলেও হতাশ হয়ে পড়বে।’
আহমেদ হেলাল আরও বলেন, ‘যদিও এ ধরনের প্রতিক্রিয়া এখনও তৈরি হয়নি। ইরানের জনগণ এখনও দেশের পতাকার নিচে সমাবেশ করছে। তারা বলছে, এটা বাইরের হুমকি। তারা এখনও অস্থিরতার এই সুযোগটিকে শাসক বদলানোর জন্য উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচনা করছে না।’