করাচিতে ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭, এখনো নিখোঁজ অনেকে

পাকিস্তানের করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ রোববার (৬ জুলাই) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। খবর ডনের।
আজ দুপুর দেড়টার দিকে রেসকিউ ১১২২-এর মুখপাত্র হাসসানুল হাসিব খান ডনকে বলেছেন, উদ্ধার অভিযান শেষ করতে আরও পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে উদ্ধার অভিযান চলমান থাকায় কোনো আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার রাতভর করাচি শহরের লিয়ারি এলাকার ফিদা হুসাইন শাইখা রোডে অবস্থিত এই ভবনটির ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। দক্ষিণ ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) জাভেদ নবি খোসো জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত ৮০ শতাংশ উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন হয়েছিল।
এধি রেসকিউ সার্ভিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এ পর্যন্ত মোট ২৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে নয়জন নারী, ১৫ জন পুরুষ, একজন ১৩ বছর বয়সী শিশু, একজন ১০ বছর বয়সী শিশু ও একজন এক বছর বয়সী শিশু রয়েছে। মরদেহগুলো অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সিভিল হাসপাতাল করাচিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আহত ১০ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ও অননুমোদিত নির্মাণ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা
আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ ভবন ধসের বিষয়ে বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া জীবিতদের উদ্ধারের জন্য তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভবন ধসের কারণ অনুসন্ধানে একটি বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং এ বিষয়ে তদন্তের জন্য ইতোমধ্যেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের বিকল্প বাসস্থান খুঁজে পেতে সহায়তা করার পরিকল্পনা করছে।
মুরাদ আলী শাহ বলেন, ধসে পড়া ভবনটি মাত্র কয়েক মাস আগে অনুমোদন ছাড়াই নির্মিত হয়েছিল। অননুমোদিত নির্মাণের জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি জনসাধারণকে আহ্বান জানান, তারা যেন কোনো ভবন কেনার আগে বিল্ডিং কন্ট্রোল অথরিটির সঠিক অনুমোদন যাচাই করে নেন।