ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরোধিতা করবে যুক্তরাজ্য

দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে শিবির স্থাপন করে ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। তবে এই পরিকল্পনার ঘোর বিরোধিতা করছে যুক্তরাজ্য। দেশটির পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য এই ধরনের জোরপূর্বক স্থানান্তরের তীব্র বিরোধিতা করবে। খবর আলজাজিরার।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক বৈঠকে ল্যামি বলেন, এই পরিকল্পনা যুদ্ধবিরতির পরিপন্থি, যা আমরা আশা করছিলাম। আমি ভাবছি সরকারের মধ্যে কিছু রাজনৈতিক চাল থাকতে পারে। ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের যেকোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা ব্রিটেন করবে কিনা—এই প্রশ্নে ল্যামি সরাসরি ‘হ্যাঁ’ উত্তর দেন।
ল্যামি ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, যদি গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতি না হয় তাহলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তার এই মন্তব্য গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের মুখে যুক্তরাজ্যের কঠোর অবস্থানকে স্পষ্ট করে তুলেছে।

এর আগে গতকাল সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক চাঞ্চল্যকর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের ধ্বংসস্তূপের জায়গায় একটি শিবির নির্মাণ করে প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিককে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিবিরের চারপাশে থাকবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ। তিনি এ পদক্ষেপকে হামাসের নিয়ন্ত্রণ থেকে মানুষকে রক্ষা হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এটিকে জাতিগত নিধোন বা যুদ্ধাপরাধের পরিকল্পনা হিসেবে দেখছে।