যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হামাস

গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির ইসরায়েলি প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে হামাস। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাতারে চলা পরোক্ষ আলোচনা থেকে কোনো সমাধান না আসার পর বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) হামাস এই প্রস্তাবটিতে তাদের সম্মতি জানিয়েছে। খবর এএফপির।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামকে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে হামাস মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে।
দোহায় চলমান আলোচনার সঙ্গে যুক্ত এক ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামাসের পক্ষ থেকে কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— গাজায় সহায়তা প্রবেশে শর্ত শিথিল করা, ইসরায়েলি বাহিনী যেসব অঞ্চল থেকে সরে যাবে তার মানচিত্র ও যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধের নিশ্চয়তা।
গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা দোহায় মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো— যুদ্ধবিরতি চুক্তির পাশাপাশি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি।
২০২৩ সালে হামাসের হামলায় মোট ২৫১ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করা হয়। এর মধ্যে ৪৯ জন এখনও গাজায় রয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এদের মধ্যে ২৭ জন ইতোমধ্যে মারা গেছে।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা এই আলোচনায় এখনও কোনো সমঝোতা হয়নি। এর জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করছে। ইসরায়েল কঠোর শর্ত দিয়েছে যে, হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ভেঙে দিতে হবে।
অন্যদিকে হামাস দাবি করছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা, ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
বুধবার (২৩ জুলাই) ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার বলেন, ইসরায়েল কাতারের প্রস্তাব ও যুক্তরাষ্ট্রের (বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের) হালনাগাদ প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। কিন্তু হামাস এখনো এতে রাজি নয়। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল এখনও দোহায় অবস্থান করছে ও আলোচনা চলমান রয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতি ও সহায়তা করিডোর নিয়ে আলোচনা করতে এই সপ্তাহে ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন।
এ ছাড়াও, বুধবার ১০০টিরও বেশি ত্রাণ সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় ‘দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে চরম খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ’। এই মানবিক সংকট নিরসনে দ্রুত যুদ্ধবিরতির গুরুত্ব আরও বেড়েছে।