‘শিকাগোতে ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা ক্ষমতার অপব্যবহার’

শিকাগোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট গভর্নর জেবি প্রিৎসকার।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইলিনয়ে ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর মতো কোনো জরুরি পরিস্থিতি নেই। প্রেসিডেন্ট “কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন।” খবর বিবিসির।
এর আগে, প্রায় ২ হাজার সেনা ওয়াশিংটন ডিসিতে মোতায়েন করেছেন ট্রাম্প। ডিসির স্থানীয় সরকারও ডেমোক্র্যাটদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। অপরাধ দমনের অংশ হিসেবে সেনা মোতায়েনের দাবি তুলেছেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ আগস্ট) তিনি জানান, শিকাগো ও নিউইয়র্কেও এ নীতি বাস্তবায়ন করা হবে।
শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সেনা মোতায়েন নিয়ে তিনি কোনো তথ্য পাননি। শহর কর্তৃপক্ষ এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে “গুরুতর উদ্বেগ” প্রকাশ করেছে। জনসন বলেন, এই পদক্ষেপ “অসংগত, অপ্রয়োজনীয় এবং অসংলগ্ন।” তিনি সতর্ক করে বলেন, অবৈধ মোতায়েন শহরের বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং অপরাধ কমানোর ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতিকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ওয়াশিংটন ডিসিতে টহলরত ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের অস্ত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে সেনাদের নিরস্ত্র অবস্থায় মোতায়েন করা হয়েছিল।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওয়াশিংটনে এ অভিযান “সম্পূর্ণ নিরাপত্তা” নিশ্চিত করেছে এবং একই ব্যবস্থা শিকাগোতেও কার্যকর করা যেতে পারে। তিনি বলেন, “ডিসি একসময় নরককুণ্ড ছিল, কিন্তু এখন নিরাপদ।”
মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহগুলোতে ১৯টি অঙ্গরাজ্যে প্রায় ১ হাজার ৭০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে টেক্সাসে সবচেয়ে বেশি সেনা থাকবে। সেনারা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-কে সহায়তা করবে এবং দৃশ্যমান প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।

ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাউসার এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি। তবে তিনি আগেই বলেছেন, শহরে অপরাধের হার “৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে” নেমেছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ বাসিন্দা সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, এটি রাজধানীর পুলিশ বিভাগ দখল করার সমান।