বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ পর্যটক দুই ভাইবোনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাদের মৃতদেহ সাঙ্গু নদীর বেতছড়া মুখ থেকে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

মৃত ভাইবোন হলেন মারিয়া বিনতে জহির (১৭) ও আহসাফ আকিব (২২)। নিহত আকিব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং বোন নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের ছাত্রী। তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ফতুল্লার ইচদরগ্রামের বাসিন্দার ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের সন্তান।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের সাঙ্গু নদী পথে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বেতছড়া বাদুরছড়া ঝর্ণা ভ্রমণে যান নারায়ণগঞ্জের ১০ জনের একটি পর্যটকদল। বাদুরছড়া ঝর্ণায় গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন দুই পর্যটক ভাইবোন। নিখোঁজের একদিন পর আজ সকালে ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে সাঙ্গু নদীর বেতছড়া মুখ থেকে ওই ভাইবোনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে পর্যটক মারিয়া ইসলাম (১৯) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। 

বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নাজমুল আলম জানান, গতকাল ঝর্ণা দেখতে গিয়ে পানিতে নিখোঁজদের উদ্ধারে আজ সকালে দ্বিতীয় দফায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, পুলিশসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সাঙ্গু নদীর বেতছড়া বিভিন্ন পয়েন্টে এবং বাদুরছড়া ঝর্ণা এলাকায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে নিখোঁজ ভাইবোন দুই পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুদিনে তিনজন পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, গতকাল একজনের ও আজ দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত পর্যটকের মামা শামিম আহমেদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ থেকে ভাগিনা, ভাগ্নিসহ ১০ জনের একটি দল বান্দরবান ভ্রমণে এসেছিল। নৌকায় করে ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিল। সেখানে গোসল করতে নেমে সাঁতার না জানার ফলে পানিতে ডুবে যায় সাতজন। এদের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। লাশ নিয়ে আমরা দ্রুতই নারায়ণগঞ্জের দিকে রওনা দিব।