পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, ২ দালালকে সাজা

কক্সবাজারের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার শহরের মুক্তিযোদ্ধা মাঠ সংলগ্ন এলাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এ অভিযান চালানো হয়।
পাসপোর্ট অফিসে অনিয়মের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুদকের এই অভিযানে দুই দালালকে আটক করে ১০ দিনের করে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অফিসের সন্দেহভাজন তিন কর্মচারী পালিয়ে গেছেন।
দুদক কক্সবাজার জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত দালালরা হলেন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার আব্দুস সবুর (৩৩) এবং পেকুয়া উপজেলার শিলখালী এলাকার মনিরুদ্দিন আহমেদ (৬০)।
তবে তদন্তে গোপনীয়তার স্বার্থে পাসপোর্ট কার্যালয়ের পলাতক তিন আসামির নাম প্রকাশ করতে অসম্মতি জানান দুদকের এ কর্মকর্তা।
এডি রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকেন্দ্রিক সক্রিয় সংঘবদ্ধ একটি চক্রের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও হয়রানির মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকেলে দুদকের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় পাসপোর্ট অফিসের তিন কর্মচারী পালিয়ে গেলেও দুই দালালকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক দালালরা স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, তারা সেবাগ্রহীতাদের নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে পাসপোর্ট অফিসের কতিপয় কর্মচারীর যোগসাজশে হয়রানির মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে জড়িত। আদায় করা অর্থের একটি অংশ কতিপয় কর্মচারী পেত।
অভিযানকালে আটক দালালদের কাছ থেকে সেবাগ্রহীতা বিভিন্ন লোকজনের কিছু কাগজ ও নথিপত্র আলামত হিসেবে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের এ সহকারী পরিচালক।
রিয়াজ উদ্দিন জানান, আটক দালালদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদান এবং সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা মঞ্জুর মৌনার নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রত্যেককে ১০ দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।