রাজশাহীতে দুই ‘জেএমবি’ ও চার ‘শিবিরকর্মী’ গ্রেপ্তার

রাজশাহীর পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই সদস্য ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের চার কর্মীকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ও আজ মঙ্গলবার ভোরে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুঠিয়ায় গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্যের নাম আবদুল ওহাব (৬০)। তাঁর বাড়ি উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামে। সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
গ্রেপ্তার শিবিরকর্মীরা হলেন পুঠিয়া উপজেলার বালিয়াঘাটি সোনারপাড়া গ্রামের সোহেল রানা (২৩), বানেশ্বর ঠান্ডারপাড়া গ্রামের আবদুল নেওয়াজ সরকার (২৮), বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর ভারতীয়পাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান (২২) ও চারঘাট উপজেলার এসকে বাদাল গ্রামের রাকিবুল ইসলাম (১৯)।
পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান জানান, জেএমবি সদস্য ওহাব এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া গ্রেপ্তার শিবিরকর্মীরা বানেশ্বর এলাকায় একটি গোপন বৈঠক করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। তাঁদের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাজশাহীর বাগমারায় জেএমবি সদস্য আবদুল কুদ্দুসকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে বাগমারার জুগিপাড়া ইউনিয়নের শান্তপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কুদ্দুস শান্তপাড়া এলাকার প্রয়াত জয়নাল সরদারের ছেলে। তাঁর বিষয়ে ওসি বলেন, কুদ্দুস জেএমবি তালিকার ১৮ নম্বর সদস্য। ২০০৪ সালে জেএমবির শীর্ষ নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের হাত ধরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন তিনি। বাগমারা এলাকায় সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা, গুম ও নির্যাতন চালাতে বাংলা ভাইকে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।