কর্মীরা আশাবাদী, বিএনপি অবশ্যই ক্ষমতায় যাবে

‘বিএনপি অবশ্যই আশাবাদী। আশাবাদী বলেই সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা এসে নয়াপল্টনের রাজপথ উত্তাল করে তুলেছে! ২০১৪ সালের পর এটিই সবচেয়ে বড় জনসভা হতে চলেছে। আগামীতে বিএনপি অবশ্যই ক্ষমতায় যাবে।’
বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম শিমুল।
শিমুল বলেন, ‘আজ একটা উৎসব উৎসবভাব এখানে। নেতাকর্মীদের চোখে-মুখে আশার আভাস দেখা যাচ্ছে। বিএনপি আজ উজ্জীবিত। মানুষ শুধু মাঠে নামার সুযোগ পেলে বিএনপিকে ঠেকাতে পারবে না বর্তমান সরকার।’
এ ছাড়া সারা দেশ থেকে জনসভায় উপস্থিত হওয়া আরো অনেকের সঙ্গে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের। সবার মুখে আশার কথা শোনা যায়। এদের ভেতরে খুলনা থেকে আসা যুবদলকর্মী আনিসুর রহমান বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে এখানে এসে। এত দিন আমার নিজের ভেতরে এক ধরনের হতাশা ছিল বিএনপির আগামী নিয়ে। আজ সেটা একেবারের কেটে গেছে। বিএনপি যদি শর্তহীনভাবে সমাবেশ করার সুযোগ পায় তবে আওয়ামী লীগ বুঝতে পারবে তাদের জনপ্রিয়তা কতটা!’
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সামসুল হুদা নামের এক কর্মী বলেন, ‘আজ সমাবেশে কমপক্ষে কয়েক লাখ মানুষ উপস্থিত আছে। জাতি আজ বুঝতে পারবে বিএনপি এখনো বর্তমান সরকারকে হটাতে সক্ষম। আজ আশা করছি, দলের হাইকমান্ড থেকে সাধারণ নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। নির্দেশনা পেলে আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে ঝাপিয়ে পড়ব।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ব্যানারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা এক বিএনপিকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতন খুব সন্নিকটে। মানুষ আজ পরিবর্তন চায়। মানুষ মাঠে নামতে চায়। কোটি কোটি মানুষ আজ বিএনপির পক্ষে আর আওয়ামী লীগের বিপক্ষে। মানুষ শুধু মাঠে নামার সুযোগ পেলে এই সরকারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
রাজধানীর কলাবাগান এলাকার যুবদলকর্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মানুষে মানুষে ভরে উঠেছে নয়াপল্টনের রাস্তা। আজ থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করার নির্দেশনা আসুক দল থেকে। আমাদের আর পিছে ফেরার সময় নেই। ঘরে বসে থাকারও সময় নেই। এবার যদি কিছু না করতে পারে বিএনপি তবে আমাদের অস্তিত্ব সংকট আরো বাড়বে। কিন্তু সেসব কিছুই হবে না। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় যাবে সেই আশা আমাদের।’