ভারতে পাচারের সময় চার শিশু উদ্ধার, দুই নারী আটক

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে মানব পাচারকারী সন্দেহে দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সিঙ্গিপাড়া এলাকা থেকে নারীদের আটক এবং শিশুদের উদ্ধার করা হয়। আটক দুই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁরা ভারতের বাসিন্দা।
ওই ঘটনায় আটক হয়েছেন, সহিদা বেগম (৪৫) ও শাহিদা বেগম (৪০)। এ দুজন জানিয়েছেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শ্যামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কালাম শেখ ও সালাম শেখ তাঁদের মামা। আটক শাহিদা জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশে তাঁর মামাবাড়িতে এসেছেন বছর খানেক আগে এবং সহিদা এসেছেন ১৫ দিন আগে।
টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক মুজাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সহিদা ও শাহিদা দাবি করেছেন তাঁদের বাড়ি ভারতের দিল্লিতে। ঠিকানা হিসেবে নিজেদের বাড়ি দিল্লির মথুরাতে বলে তাঁরা জানান।
পুলিশ সহিদা ও শাহিদার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে, রহিম শেখ (১৪), সজিব শেখ (১৬), আজমাইল লস্কর (১০) ও মোরছালিন সরদার (১৪) নামে চার শিশুকে।
মুজাহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওই চার শিশুকে অর্থ ও কাজসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মানব পাচারকারী শাহিদা বেগম ও মামুন নামের এক ব্যক্তি। ভারত নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে নিলফা বাসস্ট্যান্ডে ওই শিশুদের বহনকরা গাড়িটি আটক করেন তাঁরা। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা শাহিদা বেগমকে আটক করলেও মামুন পালিয়ে যান। পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহিদা বেগমকে আটক এবং চার শিশুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে শাহিদার তথ্যমতে তার ছোট বোন সহিদা বেগমকেও আটক করে পুলিশ।
উপপরিদর্শক মুজাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, শাহিদার আটক হওয়ার খবর পেয়ে থানায় ছুটে আসেন সিঙ্গিপাড়া এলাকার বশার মল্লিক। তিনি থানায় অভিযোগ করেন ১৬ বছর আগে তাঁর (বশার মল্লিক) মেয়ে কাজলী মল্লিককে ভারতে নিয়ে যান শাহিদা। তখন কাজলীর বয়স ছিল ১০ বছর। এরপর থেকে কাজলীর কোনো খোঁজ পাননি বশার।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হক জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।