উন্নতির মূলে যারা, তারাই অবহেলার শিকার

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার পেছনে অবদান রয়েছে আমাদের দেশের গরিব মানুষের। কৃষক, গার্মেন্ট শ্রমিক, প্রবাসীদের অবদান রয়েছে দেশের অর্থনীতিতে। কিন্তু এই মানুষগুলোই আজ চরম অবহেলার শিকার।
আজ রোববার রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওয়েক আপ আইসিটি একাডেমি নামক একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী।
অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশে সম্পদের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। আমাদের দেশের চার কোটি ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়। অনেক উন্নত দেশেও চার কোটি মানুষ বাস করে না। আর এই চার কোটি ছেলেমেয়েকে যদি আমরা সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারি তাহলে বাংলাদেশ হবে সম্পদের বিশাল ভাণ্ডার।
‘এই নতুন শতাব্দীর সম্পদ হলো জ্ঞান। কারণ, আমি শিক্ষক। আমি ছাত্রদের শেখাই। আমি যদি ভালো কিছু ছাত্রদের শেখাতে পারি আর সেই ছাত্র যদি দেশের জন্য কাজ করে সেই হবে সবচেয়ে বড় সম্পদ।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জনপ্রিয় এ লেখক বলেন, কখনো বাংলাদেশকে নিয়ে হতাশ হবে না। প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে হোক, তোমরা সেই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দেখে পরীক্ষা দেবে না। তোমাদের খাঁটি মানুষ হতে হবে। মেধাবী হলো তারাই, যারা নিয়মিত লেখাপড়ায় পরিশ্রম করে। তোমাদের নিয়মিত পরিশ্রম করতে হবে।
‘অনেকেই বলে থাকে আমাদের দেশ ২০৫০ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। কিন্তু আমি বলি, বাংলাদেশ যে হারে এগোচ্ছে তাতে ২০৫০ সালের আগেই আমরা উন্নত দেশের কাতারে চলে যাব,’ যোগ করেন জাফর ইকবাল।
অনুষ্ঠানের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজটাল বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু ২০১৫ সালে এসেই সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্ধেকেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আরো এগিয়ে যাবে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হক, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, প্রকৌশলী এস এম মুনীর আহম্মেদ, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী খান, অধ্যাপক মতিয়র রহমান, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এ এন এম মোমেনুজ্জামান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্নব নেওয়াজ মাহমুদ।