পুরোহিতের গোপালগঞ্জের বাড়িতে মাতম

পাবনায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পুরোহিত নিত্যরঞ্জন পাণ্ডের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়ুয়া কংসুর গ্রামে চলছে শোকের মাতম।
স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের কান্না ও আহাজারি চলছে। দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩০/৩৫ বছর ধরে নিত্যরঞ্জন পাবনায় শ্রীশ্রী অনুকূলচন্দ্র সৎসংঘ আশ্রমে ধর্ম প্রচার করে আসছিলেন। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘ বছর সেখানে তিনি থেকেছেন। কেবল পাবনাতেই নয়, গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জেও কারো সঙ্গে কখনো বিবাদে জড়িয়েছিলেন বলে জানা যায়নি। হঠাৎ করে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়ার খবর গ্রামের বাড়িতে আসার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। স্বামী, বাবা আর ভাই হারানোর সংবাদে বারবার অচেতন হয়ে পড়ছেন স্ত্রী-সন্তানরা।
গ্রামের বাড়িতে নিহতের সৎকার করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবার। কী কারণে তাঁকে সন্ত্রাসীদের হাতে এভাবে প্রাণ দিতে হলো তা জানতে চান এলাকাবাসী। দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে তার পুনরাবৃত্তি আর যেন না হয় সে জন্য হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
এদিকে, পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানান, সন্ধ্যার দিকে নিত্যরঞ্জনের মরদেহ নিয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিন ভোরে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।