পুলিশের দাবি ডাকাত, পরিবার বলছে বিএনপি সমর্থক

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র পর শাহজাহান সরদার (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলি, গুলির খোসা, একটি চাপাতি , একটি হাতুড়ি ও গাছ কাটার একটি করাত উদ্ধার করা হয়েছে। শাহজাহান আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্য বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, শাহজাহান বিএনপির একজন সাধারণ কর্মী। পরিকল্পিতভাবে ডাকাত সাজিয়ে পুলিশ তাঁর ডান পায়ে গুলি করেছে।
শাহজাহানের মেয়ে তাসলিমা (২২) বলেন, তাঁর বাবা বিএনপির সমর্থক। তিনি আরো বলেন, ‘আমার আব্বা জমি চাষের কাজ করেন। আমরা কষ্ট করি খাই।’
শ্বশুর আবদুর রহমান বলেন, শাহজাহান জমি চাষের কাজ করেন। রাজনীতি করেন না, কিন্তু বিএনপি সমর্থন করেন। ধানদিয়া অশোক মোড়ের চায়ের দোকান থেকে ২২ এপ্রিল বুধবার বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, গতকাল রাতে কুমিরা কায়েমখোলা এলাকার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে একদল লোক ডাকাতি করছে বলে খবর পায় পুলিশ। এর ভিত্তিতে উপপরিদর্শক (এসআই) মধুসূদন মণ্ডল ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাফিজুরের নেতৃত্বে পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে সাত-আটটি গুলি করে এবং ককটেল ছোড়ে। পুলিশও এ সময় পাল্টা ১০টি গুলি ছোড়ে। তিনি বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা গুলিবিনিময়ের পর এক ব্যক্তিকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখে পুলিশ। পুলিশ তাঁর কাছে এগিয়ে গেলে অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে (শাহজাহান) উদ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তরিকুল ইসলাম আরো জানান, শাহজাহান পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পাটকেলঘাটা থানার একটি ডাকাতি মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আরো ছয়টি মামলা আছে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় দুই কনস্টেবল আজিবুর রহমান ও আবদুল মান্নান ককটেলের আঘাতে সামান্য আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় শাহজাহানসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।