ভোলায় আলাদা দুর্ঘটনায় দুই শিশু নিহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

আজ সোমবার সকালে সদর উপজেলার খেয়াঘাট রোড ও বাপ্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ৯টার দিকে খেয়াঘাট রোড দিয়ে মালামাল নিয়ে একটি নছিমন ভোলা শহরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় শাবনূর নামের একটি শিশু রাস্তা পার হতে গেলে তাকে চাপা দিয়ে নছিমনটি রাস্তার পাশের একটি চায়ের দোকানে ধাক্কা দেয়। এতে আহত হয় দোকানে থাকা পাঁচজন। স্থানীয়রা দ্রুত হতাহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু শাবনূরকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শাবনূর ভোলা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মান্নানের মেয়ে। স্থানীয়রা ঘাতক নছিমনটি স্থানীয়রা আটক করলেও এর চালক পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে, প্রায় একই সময়ে সিয়াম নামের অপর এক শিশু সুপারিগাছ থেকে পড়ে মারা গেছে। সে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাপ্তা গ্রামের মো. আহসান হাবীবের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে সুপারি পাড়ার জন্য গাছে উঠেছিলে সিয়াম। অসাবধানতাবশত সেখান থেকে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মীর খায়রুল কবির জানান, দুটি ঘটনায় নিহতরা শিশু হওয়ায় যথাযথ আইনের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের লাশ নিয়ে গেছেন পরিবারের সদস্যরা। খেয়াঘাট রোডের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নছিমনটি আটক করা হয়েছে। তবে এর চালক পালিয়ে গেলেও মালিক ও চালককে খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।