ঋণ নয়, বিশ্বব্যাংকের অনুদান দেওয়া উচিত

জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের দুই বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের ঋণসহায়তা নয়, অনুদান পাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের রয়েছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন। উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট, টিআইবি এবং সচেতন নাগরিক কমিটি এর আয়োজন করে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জলবায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশের মানুষ এমনিতেই নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছে, তার ওপর জনগণকে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে ২২তম জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে জলবায়ু দুর্গতদের পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি পেশ করা হয়। এর মধ্যে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ গড়ে এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনতে বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতির দাবি জানায় সংগঠনগুলো। এ ছাড়া গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের অর্থ বরাদ্দের প্রক্রিয়া সরলীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো যাতে তার প্রাপ্য সহজে পেতে পারে, সেদিকে নজর দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনে দুই বিলিয়ন ডলার তহবিল দেবে। বিশ্বব্যাংকের তহবিল কিন্তু বিনা সুদে হয় না। যত স্বল্প সুদই হোক, এটা কিন্তু ঋণের বোঝাটা বাড়াবে। আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ, বাংলাদেশে যারা উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। এমনিতেই যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত, এমনিতেই যথেষ্ট ঝুঁকির সম্মুখীন। এর মধ্যে আবার তাদের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হবে এবং তার মধ্যে সুদ ব্যবসা চলবে সেটা আমরা অ্যাকসেপ্ট করতে পারি না।’
সম্প্রতি তিনদিনের সফরে বাংলাদেশ ঘুরে যান বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে আগামী তিন বছরে ২০০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন।