জামালপুরে সম্ভাব্য কৃষি উদ্যোক্তা বাছাইয়ের জন্য অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অন অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্পের আওতায় জেলা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তার কার্যালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।

দিনব্যাপী কর্মশালায় পার্টনার প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার ড. নাসরিন সুলতানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এজেন্সি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-ফারুক।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এক্সপোর্ট অ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট কনসালটেন্ট ড. মাহবুব আলম। এ ছাড়া জেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা, বিএডিসির (বীজ বিপণন) উপপরিচালক প্রিয়তোষ রায়, বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক সম্রাট আকবর, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক, কৃষি উদ্যোক্তা সুমন মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, কৃষক নানা প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে অনেক কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করে। কিন্তু কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে কৃষকের পক্ষে পণ্যের বাজার যাচাই করা সম্ভব হয় না এবং কৃষক বঞ্চিত হয়। তাই কৃষককে তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে এবং কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রির লক্ষ্যে কৃষকদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার কাজ করছে। কৃষকদের একত্রিত করে উৎপাদিত ফসল বিক্রির সুযোগ তৈরি ও কৃষকদের মধ্য থেকেই কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে একদিকে উপযুক্ত দাম পেয়ে কৃষক লাভবান হবে এবং উদ্যোক্তা তৈরি হবে অপরদিকে মধ্যস্বত্বভোগীর কবল থেকে কৃষক ও ভোক্তা মুক্তি পাবে এবং ভোক্তারা স্বল্পমূল্যে কৃষি পণ্য কিনতে পারবে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে, তারা তাদের নিজেদের জমিতে ও অন্য কৃষকের জমিতে উৎপাদিত ফসল বিক্রি না করে প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করছে। বিশেষ করে হলুদ, মরিচ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন মশলা জাতীয় পণ্য গুঁড়া করে প্যাকেটজাত করে, আচার তৈরি করে ও অন্যান্য ফসল সরাসরি বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অর্ধশতাধিক কৃষি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।