চীনের প্রস্তাবিত ১০০০ শয্যা হাসপাতালের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে স্থানীয় প্রশাসন

চীনের উপহার হিসেবে ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দেবীগঞ্জ পৌরসভার দো-সীমনা এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ে সংলগ্ন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীন প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রায় ২৫ একর জমি পরিদর্শন করা হয়।
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সীমা শারমিন, দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানসহ উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫ একর জমি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হলে পরবর্তীতে চীনা কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে হাসপাতালের জন্য নির্ধারিত স্থান চূড়ান্ত করবে।
জমি পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, ‘দেবীগঞ্জ উপজেলায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ হলে পঞ্চগড় ছাড়াও নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুর জেলার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। এ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, এমনকি মালদ্বীপ থেকেও রোগীরা সহজে এই হাসপাতালের সেবা নিতে পারবেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দেবীগঞ্জে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খালি জমি রয়েছে। এ কারণে আজ জেলা প্রশাসক মহোদয় সম্ভাব্য স্থানগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে রংপুর বিভাগে একটি বিশ্বমানের ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে চীন সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার নাম উঠে আসছে সম্ভাব্য স্থানের তালিকার শীর্ষে, যা ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে।