নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হিড়িক
গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দল গঠনের যেন হিড়িক পড়েছে। প্রতি মাসেই গড়ে গঠন হচ্ছে তিনটি দল। কোনোটি পেশাভিত্তিক, কোনোটা আবার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের অথবা দণ্ড ভোগ করে এসেও দল গঠন করেছেন কেউ কেউ। দলগুলোর দাবি, জনগণের আকাঙ্ক্ষার মূল্যায়ন করতে তারা রাজনীতির মাঠে এসেছেন।
বিশেষজ্ঞের মতে, এসব দল প্রভাব প্রতিপত্তি, নির্বাচনে দর-কষাকষি এবং সুবিধা ভোগ করার জন্যই গঠন করা হয়, যাদের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা কম।
আলোচিত সমালোচিত ডেসটিনির এমএলএম বিজনেসে জড়িয়ে পড়া গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা ফেরত না দিয়েই নতুন দল গঠন করলেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন। চার হাজার কোটি টাকার দুটি মামলায় দণ্ড ভোগ করে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রাজধানীর বহুতল ভবন পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারেও একাধিক রাজনৈতিক দল দলের প্রধান কার্যালয় রয়েছে। এ বছরের ২৮ জানুয়ারি আম জনতার দল নামে একটি দল গঠন করেন গণঅধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা তারেক রহমান। তবে এখনও ভোটের মাঠে প্রস্তুত নন বলে জানান তিনি।
একই নামে কমপক্ষে আরও তিনটি দলের অস্তিত্ব আছে। গত বছরের ৪ জানুয়ারি দেশ জনতা পার্টি, এ বছরের ২৮ জানুয়ারি আম জনতার দল, ১৩ মার্চ জনতার বাংলাদেশ পার্টি, ২০ মার্চ জনতার দল গঠিত হয়। বাংলাদেশ জনতা পার্টি নামেও আরেকটি দলের নিবন্ধন মামলা হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরী বলেন, দেশের প্রতি এসব দলের দায়বদ্ধতা নেই। আছে খ্যাতির অভিলাষ।
গত বছরের আগস্টে নিউক্লিয়াস পার্টি, সমতা পার্টি সেপ্টেম্বরে, নভেম্বরে সংস্কারবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তি, মুক্তির ডাক, ডিসেম্বরে বিপ্লবী পরিষদ, জানুয়ারি থেকে মার্চে আরও সাতটি দল গঠিত হয়। মার্চ থেকে এ পর্যন্ত আরও পাঁচটি দল আত্মপ্রকাশ করে। দেখুন ভিডিওতে।