জুলাই আবাসন প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচার করছে একটি মহল : গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

জুলাই শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য প্রস্তাবিত আবাসন প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (২৮ জুলাই) গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য একটি আবাসন প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এই প্রকল্প এখনও অনুমোদন বা এক টাকাও বরাদ্দ বা ছাড় করা হয়নি। অথচ একটি মহল পরিকল্পিতভাবে এই প্রকল্পে দুর্নীতির কাল্পনিক ও মিথ্যা অভিযোগ এনে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার হীন চেষ্টা করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জুলাই আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপিতে (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফর্মা) অন্তর্ভুক্ত কিছু আইটেম যেমন- লিফট, সাব-স্টেশন, পাম্প-মোটর, সীমানা প্রাচীর সম্পর্কে উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রাক্কলনসমূহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। উক্ত পর্যবেক্ষণে বিবেচ্য আইটেমগুলোর দরের সঠিকতা পাওয়া গেছে। উল্লেখিত আইটেমের রেটসমূহ গণপূর্ত রেট সিডিউল-২০২২ (সংশোধিত) অনুযায়ী প্রণয়ন করা হয়েছে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানিয়েছে, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তাবিত ঢাকার মিরপুর সেকশন-১৪ এ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-২৪ এ শহীদ পরিবারের স্থায়ী বাসস্থান প্রদানের নিমিত্ত জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জমিতে ৩৬ জুলাই আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় বিষয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একটি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত, স্থপতি ড. আবু সাঈদ মোশতাক আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের একজন প্রতিনিধি।
এই মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, ‘গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা সরকারি কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আর্থিক সুশাসন নিশ্চিত করে।’