আপনার জিজ্ঞাসা
জিন আছর করলে তার লক্ষণ কী?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৭৪৫তম পর্বে মো. জাহিদুল হাসান, লালবাগ, ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন ফকির, ওঝা, কবিরাজ ইসলামে কতটুকু সম্মত। অনুলিখনে সজীব খান।
প্রশ্ন : কোনো ব্যক্তিকে যদি জাদু করা হয় বা জিন আছর করে, তবে কী কী লক্ষণ বা উপসর্গ দেখে আমরা তা বুঝব? অনেকে ওঝা বা ফকিরের কাছে যায়, ঘরের মধ্যে কোনো তাবিজ থাকলে তা বের করার জন্য। এ কাজটি ইসলামে কতটুকু সম্মত?
উত্তর : এর সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ নেই। যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ রয়েছে, তারা আলোচনার মধ্যে এগুলো উপলব্ধি করতে পারে। আমি একটা নির্দিষ্ট লক্ষণ বলে দিলাম আর আপনি ভাবলেন, এটাই মনে হয় লক্ষণ, বিষয়টি এমন নয়।
আপনি যদি শারীরিক কারণে অসুস্থ বোধ করেন, তাহলে প্রাথমিক কাজ হলো ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ডাক্তার আপনাকে দেখার পর যদি কোনো রোগ ধরতে না পারে, কিন্তু আপনি অসুস্থ বোধ করেন, তাহলে জাদু বা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে যাদের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের পরামর্শ নিতে পারেন।
কিন্তু প্রথমেই যদি আপনি ফকির, ওঝা, কবিরাজ ইত্যাদি লোকের কাছে যান, তাহলে তারা আপনাকে বলবে মহাজাদু করা হয়েছে; বরং সে নতুন করে জাদু করে আপনাকে বিপদে ফেলে দেবে। এদের মধ্যে অনেক প্রতারকও আছে।
যাঁরা সত্যিকারের কোরআন-হাদিসের জ্ঞান রাখেন, তাঁদের কাছে যান, তাহলে তাঁরা সহিহ দিকনির্দেশনা দান করতে পারবেন। আর ফকির, ওঝা, কবিরাজ এরা কিন্তু সহিহ দিকনির্দেশনা দান করবে না। কারণ, এরা তো ব্যবসা করে।
তবে সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো, প্রথমেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়ার পর যদি আপনি ব্যর্থ হন, তাহলে কোরআন ও হাদিসের মধ্যে যে ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলো গ্রহণ করতে পারবেন।