কোয়ার্টারের পর সেমিতেও চেলসির প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের ক্লাব

ব্রাজিলের ক্লাবগুলো চেলসির পিছ ছাড়ছে না। গ্রুপ পর্বে তারা ধাক্কা খেয়েছিল ফ্ল্যামেঙ্গোর কাছে। তবে ইংলিশ জায়ান্টরাও বেশ সতর্ক এখন। কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের আরেক ক্লাব ফ্লুমিনেন্স।
ফিলাডেলফিয়ায় আজ শনিবার (৫ জুলাই) সকালে পালমেইরাসকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি। পালমেইরাসের ক্লাব বিশ্বকাপের যাত্রাটা শেষ হয়েছে আত্মঘাতী গোলে। ম্যাচ শুরুর আগে স্মরণ করা হয় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া লিভারপুলের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়াগো জোতা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভাকে।
লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে ড্র করে গ্রুপসেরা হয়ে নকআউটে এসেছিল পালমেইরাস। শেষ ষোলতে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় স্বদেশী ক্লাব বোতাফোগোর বাঁধাটাও পার করে কোয়ার্টারে এসে আটকে গেল চেলসির বিপক্ষে।
পুরো ম্যাচজুড়েই দাপট ছিল চেলসির। ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে ৬টি শট লক্ষ্যে রাখে তারা। বিপরীতে পালমেইরাস ৩৭ শতাংশ বল দখলে রেখে ৭টি শট নিয়ে মাত্র ২টি শট লক্ষ্যে রাখতে পারে।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটেই ট্রেভো চ্যালোবার থেকে বক্সের মাঝে বল পেয়ে দারুণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে নেন কোল পালমার। এরপর অনেকবার আক্রমণে গেলেও গোলের দেখা পায়নি চেলসি।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে এস্তেভোর গোলে পালমেইরাস সমতায় ফেরে। পালমেইরাসের এই উঠতি তারকা গোল করেন তার ভবিষ্যৎ ক্লাবের বিপক্ষেই। আগামী মৌসুম থেকে চেলসির জার্সি গায়ে দেখা যাবে তাকে।
তবে সমতাটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি পালমেইরাস। ৮৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে বিপদ হয় তাদের। মালো গুস্তোর শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান আর্জেন্টাইন রাইটব্যাক অগাস্তিন গিয়াই। ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে পালমেইরাস। ইংলিম জায়ান্টদের বিপক্ষে সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল না হলে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তারা মুখোমুখি হবে আরেক ব্রজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের।