চেলসি ও বার্সেলোনাকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে উয়েফা

আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা বার্সেলোনা নতুন খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে চেলসি প্রতিনিয়তই তাদের স্কোয়াডের আকার বড় করছে। এবার দুই দলকেই আর্থিক নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।
বার্সেলোনা-চেলসির পাশাপাশি অ্যাস্টন ভিলা, অলিম্পিক লিও ও রোমাকে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে উয়েফার কোনো প্রতিযোগিতায় নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
উয়েফার ক্লাব ফিন্যান্সিয়াল কন্ট্রোল বডি (সিএফসিবি) এই জরিমানা করেছে। উয়েফা এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায়। উয়েফার আর্থিক নিরীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের উয়েফার নির্ধারিত আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ক্লাবগুলো জরিমানা করা হয়েছে। পরের মৌসুমে এই ক্লাবগুলো এর পুনরাবৃত্তি ঘটালে জরিমানার অঙ্কও বাড়বে।
সর্বোচ্চ ৩১ মিলিয়ন ইউরো (৩৬.৫ মিলিয়ন ডলার) জরিমানার গুনতে হচ্ছে চেলসিকে। এটি এক মৌসুমে কোনো ক্লাবকে উয়েফার করা সর্বোচ্চ জরিমানা। নির্ধারিত সময় (৪বছর) মধ্যে ক্লাবের আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত না করতে পারলে তাদের আরও ৬০ মিলিয়ন ইউরো (৭১ মিলিয়ন ডলার) অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
অন্যদিকে, আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনাকে জরিমানা গুণতে হচ্ছে ১৫ মিলিয়ন ইউরো (১৭.৭ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা। এর আগেও একবার উয়েফার জরিমানার কবলে পড়েছিল কাতালান ক্লাবটি। এর আগে ২০২৩ সালে আয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগে তাদের ৫ লাখ ইউরো জরিমানা গুণতে হয়।
আর্থিক দুরবস্থার কারণে ফরাসি লিগ ‘লিগ আ’ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে অবনমিত হয়েছে লিও। ফরাসি এই ক্লাবের ঘাড়ে এবার উয়েফার জরিমানা চেপেছে সাড়ে ১২ লাখ ইউরো। নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে আরও বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে এই ক্লাবটিকেও।
এছাড়া ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাকে ১১ মিলিয়ন ইউরো এবং ইতালির রোমাকে ৩ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। শর্ত অনুযায়ী ক্লাবগুলোকে দুই থেকে চার বছরের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উয়েফার আয়ের নীতিমালার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্য ফেরাতে বলেছে উয়েফা।