গুহাবাসী আদিম মানুষ কীভাবে দাঁত পরিষ্কার করত

আদিম যুগের মানুষ গুহায় থাকত। কাঁচা সবজি, ফল, মাংস খেত। জানা কথা। দাঁতের অবস্থা কী হতো। মানুষের মরে যাওয়ার আগেই সব দাঁত নষ্ট হয়ে পড়ে যাওয়ার কথা! তা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কারণ কী? আদিম মানুষ নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিত। দাঁত পরিষ্কার করতে যথেষ্ট সময় দিত গুহামানবরা!
কারেন হারডি নামে এক গবেষক দাঁত নিয়ে কাজ করেন। মানুষ দাঁতের যত্ন কীভাবে নেওয়া শুরু করে, তা নিয়েই লেখালেখি আর মাথা ঘামান তিনি। স্পেনের উত্তরাঞ্চলে দাঁতের ফসিল পেয়েছেন তিনি। ফসিলের ওপর কাজ করে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, খ্রিস্টপূর্ব সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বছর আগের চিহ্ন এসব দাঁত। এগুলো মোটেও ক্ষয়ে পড়া না, বোঝাই যায় দাঁতের মালিক যথেষ্ট যত্ন নিয়েছেন নিজ দাঁতের।
কারেন জানান, দাঁতগুলো নিয়ে পরীক্ষা করেছেন তিনি। এগুলোতে ঘাস, বীজ, শস্যদানা, পাতা, মাংসের চিহ্ন আছে। অর্থাৎ আদিম ভদ্রলোক এগুলো খেয়েছেন। পুড়িয়ে নয়, এসব কাঁচাই খেয়েছেন তিনি। গবেষণার একপর্যায়ে কারেন লক্ষ করেন, কাঠের আঁশ পাওয়া গেছে। এসব আঁশ মানুষের হজমের উপযোগী নয়। কারেন দাবি করছেন, এগুলো দিয়েই দাঁত পরিষ্কার করত আদিম মানুষ। অর্থাৎ দাঁত পরিষ্কার করতে গাছের কোনো অংশ ব্যবহার করত আদিম মানুষ।
প্রাচীন মিসরেও ‘টুথপিক’জাতীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। কারেন বলেন, ‘দাঁতকে ঘিরে থাকে ডেন্টাল প্লাক নামে একটি জিনিস। নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলে প্লাকটি শক্ত হয়ে যায়। আধুনিক মানুষ এরপরই ছোটেন দাঁতের চিকিৎসকের কাছে।’ কিন্তু আদিম মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই নিজেরা দাঁতের যত্ন নেন বলে জানান তিনি।
শিম্পাঞ্জিরা কিন্তু নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেয়! দাঁতের জন্য ছোট কাঠি ব্যবহার করে, কিছু ঘাসও খেয়ে নেয়। ফলে এদের দাঁতও থাকে ধবধবে সাদা!