১৬০০ অতিথির গোপনে ধারণ করা ভিডিও অনলাইনে

হোটেলগুলোতে অতিথিদের অগোচরে ধারণ করা ভিডিও অনলাইনে সরাসরি দেখানো হতো। তাও একটি নয়, এক হাজার ৬০০ অতিথির গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে তাদের ভিডিও সরাসরি দেখানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ এক প্রতিবেদনে এমন রোমহর্ষক তথ্য দিয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অপর দুজন আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
হোটেলকক্ষের ডিজিটাল টিভি বক্স, দেয়ালে লাগানো সকেটে ও চুল শুকানো মেশিনের হাতলে ক্যামেরা লাগিয়ে রেখে অতিথিদের গোপন মুহূর্ত অনলাইনে দেখানো হতো। এমন খবর প্রকাশের পর দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে হইচই পড়ে গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ১০টি শহরের ৩০টি হোটেলের ৪২টি কক্ষ থেকে এমন কাণ্ড ঘটানো হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন। তবে পুলিশ বলছে, হোটেলগুলোর কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনায় জড়িত কি না, তার প্রমাণ মেলেনি। বলা হচ্ছে, অভিযুক্তরা নিজ উদ্যোগে হোটেলগুলোতে গোপনে ক্যামেরা লাগিয়ে তা থেকে ভিডিও ধারণ করে থাকতে পারে।
যে ওয়েবসাইটে ভিডিওগুলো দেখানো হতো সেখানে চার হাজার সদস্য রয়েছেন। যাদের ৯৭ জন এসব ভিডিও পেতে প্রতিমাসে ৪৪.৯৫ ডলার করে ফি দিতেন।
পুলিশ বলেছে, এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ার হোটেলে এমন গোপনে ভিডিও ধারণের ঘটনা পাওয়া গেছে। তবে এবারই প্রথম সেসব ভিডিও কোথায় কোন ওয়েবসাইটে দেখানো হয় তা জানা গেল।
এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় হাজারো নারী এর আগে প্রতিবাদ করেছেন। তারা ‘আমার জীবন তোমার পর্ন নয়’ স্লোগান দিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। এমনকি ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ছয় হাজার ৪০০ অবৈধ ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া যায়, যেটি ২০১২ সালে দুই হাজার ৪০০ ছিল।
এমন ঘটনা প্রতিরোধে সিওলের কর্তৃপক্ষ নারী সদস্যদের নিয়ে বিশেষ একটি স্কোয়াড গঠন করেছে, যারা সময়ে সময়ে শহরের প্রক্ষালণকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। তবে এটিকে খুবই অপ্রতুল উদ্যোগ হিসেবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বছরের জানুয়ারিতে দেশটির একটি পর্নসাইটের মালিককে চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাকে ১.২৬ মিলিয়ন ডলার জরিমানাও করা হয়।